কাজিরবাজার ডেস্ক :
২ মাসের মধ্যে বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগে মালয়েশিয়ার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হতে পারে বলে জানিয়েছেন দেশটি জনসম্পদ মন্ত্রী কুলাসেগারান। কুয়ালালামপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী জানিয়েছেন, স্থগিতাদেশ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। ২/১ মাসের মধ্যেই বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া আবার শুরু হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
২০১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশিদের জন্য ফরেন ওয়ার্কার্স অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেম বাতিল করা হয়। ফলে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়। তবে শ্রমিক আমদানি বন্ধ করায় দেশটির বেশ কয়েকটি বড় শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে নির্মাণশিল্প ও কৃষিকাজে। স্থগিতাদেশ তুলে নিলে পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার দেশটিতে শুরু হয়েছে নবম আন্তর্জাতিক প্ল্যান্টার্স সম্মেলন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশিদের নেওয়ার ব্যাপারে আগামী মাসেই স্থগিতাদেশ উঠে যেতে পারে। এর আগের নিয়মে বাংলাদেশিদের সেখানে কাজের অনুমতি নিতে সরকার অনুমোদিত সংস্থাগুলোকে ২০ হাজার রিঙ্গিত দিতে হতো যা বাংলাদেশি টাকায় ৪ লাখেরও বেশি। আগের সরকার অনুমোদিত ১০ টি সংস্থাই কর্মী আমদানি করতে পারতো।
গত সপ্তাহে বাংলাদেশে প্রবাস কল্যান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ কুয়ালালামপুরে গিয়ে জানান, আগামী মাসেই কর্মী নেওয়ার ব্যাপারে মালয়েশিয়ার সঙ্গে নতুন চুক্তি হতে পারে। তিনি আশ্বস্ত করেন, নতুন প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ থেকে কর্মী আমদানি প্রক্রিয়া অনেক স্বচ্ছ হবে। তিনি বলেন, প্রক্রিয়াটা ঠিক করা সময়ের ব্যাপার। অতীতের প্রক্রিয়া কাজ করছে না। তাই নতুন একটি কৌশল বের করতে আমরা সবাই কাজ করছি। আশা করি আগস্টের সধ্যে একটা সমাধান চলে আসবে।
প্রবাস কল্যানমন্ত্রী জানান, মালয়েশিয়ায় বর্তমানে বৈধভাবে ৪ লাখ বাংলদেশি শ্রমিক কাজ করছেন।