জগন্নাথপুর থেকে সংবাদদাতা :
জগন্নাথপুর পৌর এলাকার ঐতিহ্যবাহী শান্ত কেশবপুর এখন অশান্ত হয়ে উঠেছে। একটি মামলাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তাল অবস্থা বিরাজ করছে। মসজিদে শিরণি বিতরণ নিয়ে দুই শিশুর ঝগড়া থেকে নারী নির্যাতন মামলায় নিরীহ মানুষকে হয়রানী করায় সর্বত্র বইছে প্রতিবাদের ঝড়।
স্থানীয়রা জানান, কেশবপুর বাজারের নিরীহ ব্যবসায়ী তোতা মিয়ার ছেলে ও বাজার এলাকার আরেক বাসিন্দা আবু লেইছের ছেলের মধ্যে গত প্রায় ২ মাস আগে মসজিদে শিরণি বিতরণ নিয়ে এ দুই শিশুর ঝগড়া হয়। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের হামলায় তোতা মিয়ার বড় ছেলে পৌর ছাত্রলীগ নেতা বিলাল মিয়া আহত হন। এ বিষয়ে জগন্নাথপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হলেও শালিসি ব্যক্তিদের উদ্যোগে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়। পরে আবার পাওনা টাকা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে আবু লেইছের মেয়ে সীমা বেগম বাদী হয়ে ব্যবসায়ী তোতা মিয়ার ছেলে ছাত্রলীগ নেতা বিলাল মিয়া সহ ২ জনকে আসামী করে সুনামগঞ্জ আদালতে নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১২২/২০২১ইং। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে চারদিকে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এরই অংশ হিসেবে ১১ মে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্থানীয় কেশবপুর বাজারে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বক্তব্য রাখেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও শালিসি ব্যক্তি আছকির আলী, পৌর কাউন্সিলর আলাল হোসেন, কেশবপুর বাজার সেক্রেটারি ছানাফর আলী, সাবেক সেক্রেটারি আরজাদ খা, প্রবীণ মুরব্বি সমুজ আলী, বাদশা মিয়া, পীর ছুরত আলী, মাস্টার সানুর আলী, আ.লীগ নেতা আছকির আলী, সমাজকর্মী সুন্দর আলী, তৈয়ব আলী, এলখাছ মিয়া, বাদশা মিয়া, সঞ্জু দাস, আনু মিয়া, জাহাঙ্গীর মিয়া, আবদুল কাদির, আনর মিয়া, গোলজার মিয়া, ইয়াওর মিয়া, আমির হোসেন, লায়েক মিয়া, মোশারফ হোসেন প্রমূখ। সভায় কেশবপুর বাজারের ব্যবসায়ী ও এলাকার প্রতিবাদী জনতা অংশ গ্রহণ করেন। সভায় বক্তারা বলেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে নিরীহ ব্যবসায়ী তোতা মিয়ার পরিবারকে হয়রানী করা হচ্ছে। ২/১ জন প্রবাসীর ইন্ধনে শান্ত কেশবপুর এখন অশান্ত হয়ে উঠেছে।