শিপন আহমদ ওসমানীনগর থেকে :
ওসমানীনগরে শ্বশুর বাড়ি থেকে ইফতার ও জামাকাপড় না পাওয়ায় রশি দিয়ে বেঁধে স্ত্রী ও বৃদ্ধ শ্বশুরকে নির্যাতন করার অভিযোগে ওসমানীনগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় শাশুড়ি মনোয়ারা বেগমকে (৪৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার রাতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার উমরপুর ইউপির ভরাউট গ্রাম থেকে মনোয়ারা বেগমকে গ্রেফতার হয়। গ্রেতারকৃতকে সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। রবিবার রাত ১০টার দিকে নির্যাতিতা গৃহবধূ বাদি হয়ে স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে আসামী করে ওসমানীনগর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে, গত রবিবার বিকেলে নির্যাতিতা গৃহবধূর পিতা আব্দুস সহিদের দায়ের করা লিখিত অভিযোগের পরিবর্তে নির্যাতিতা গৃহবধূ জায়দা বেগম রবিবার রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে স্বামী মামুন মিয়া, শ^শুর আমির আলী ও শাশুড়ি মনোয়ারা বেগম আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং-০৬। মামলার পর থেকে গৃহবধূর স্বামী শ্বশুর পলাতক রয়েছেন।
ওসমানীনগর থানার ওসি শ্যামল বণিক বলেন, নির্যাতিতা গৃহবধূর শাশুড়ি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মনোয়ারা বেগমকে গ্রেতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামিদর গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার সকাল ৯ টার দিকে ভরাউট গ্রামে শ্বশুর বাড়ি থেকে ইফতার ও জামাকাপড় না পাওয়ায় রশি দিয়ে বেঁধে স্ত্রী জায়দা বেগম ও বৃদ্ধ শ্বশুর আব্দুস সহিদকে নির্যাতন করে জায়দা বেগম স্বামী শ^শুর সহ তাদের পরিবারের লোকজন। এ ঘটনায় নির্যাতিতা গৃহবধূ জায়েদা বেগম বাদি হয়ে স্বামী শশুর ও শাশুড়ীকে আসামী করে ওসমানীনগর থানায় মামলা দায়ের করেন।