কেলেহেরর দক্ষতায় নকআউট পর্বে লিভারপুল

9

স্পোর্টস ডেস্ক :
অ্যালিসন বেকার, ভার্জিল ফন ডাইক, থিয়াগো আলকানতারা, ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আর্নল্ডের মতো তারকারা ইনজুরিতে পড়ায় তরুণদের উপরেই আস্থা রাখতে বাধ্য হচ্ছেন লিভারপুল কোচ জুর্গেন ক্লপ। আর তরুণ ফুটবলাররাও আস্থার দারুণ প্রতিদান দিয়ে চলেছেন। তাদেরই একজন কার্টিস জোন্স। ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দলের এই ফুটবলারের নিশানাভেদেই ডাচ ক্লাব আয়াক্সকে ১-০ গোলে হারিয়ে চলতি চ্যাম্পিয়নস লীগের নকআউট পর্বে খেলা নিশ্চিত করেছে অলরেডরা।
মঙ্গলবার অ্যানফিল্ডে অনুষ্ঠিত ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচের হ্যামস্ট্রিংয়ের ইনজুরিতে পড়ে মাঠের বাইরে চলে যান লিভারপুলের মূল গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার। তার পরিবর্তে আদ্রিয়ানের মাঠে নামার কথা থাকলেও জুর্গেন ক্লপ ভিন্ন ছক তৈরি করেন। তরুণ আইরিশ গোলরক্ষক কোইমহিন কেলেহেরকে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় প্রথমবারের মতো মাঠে নামিয়ে তিনি তাক লাগিয়ে দেন। ক্লপের আস্থার প্রতিদান ২২ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক পুরো ম্যাচেই দিয়েছেন জাল অক্ষত রেখে। কমপক্ষে ৪-৫টি সেভ করে তিনি জানিয়ে দেন, লিভারপুলের সাইড বেঞ্চ কতটা শক্তিশালী। ম্যাচ শেষে হয়ে যান জয়ের নায়ক।
ম্যাচের ২১ মিনিটে ডাভি ক্লাসেনের হেড দারুণ দক্ষতায় প্রতিহত করেন কেলেহের। ১১ মিনিট পর প্রায় ২৮ গজ দূর থেকে ডাচ মিডফিল্ডার নুসাইর মাজরাউয়ির জোরালো শট ঝাঁপিয়ে পড়ে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকিয়ে দেন লিভারপুলের যুব দল থেকে উঠে আসা এই গোলরক্ষক।
বিরতির পর ৫৮ মিনিটের মাথায় ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার আর্নল্ডের বদলে রাইটব্যাক হিসেবে খেলা নেকো উইলিয়ামসের ক্রসের সময় অহেতুক গোললাইন ছেড়ে বেরিয়ে আসেন আয়াক্স গোলরক্ষক। এর মধ্যে তার হাত ফসকে বল বেরিয়ে গেলে ডান পায়ের কিকে বল জালে জড়িয়ে দেন ১৯ বছর বয়সী কার্টিস জোন্স।
৮৮ মিনিটে আয়াক্সের ক্লাস-ইয়ান হুন্টেলারের হেড ‘পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ’ থেকে কেলেহের যেভাবে সেভ করেছেন, তা হয়তো জুর্গেন ক্লপকেও বিস্মিত করবে। তার এই দক্ষতাতেই শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছেড়ে শেষ ষোলোর টিকেট হাতে পেয়েছে ইপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।