স্টাফ রিপোর্টার :
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক বিশিষ্ট লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের উপর হামলাকারী ফয়জুল হকের বড় ভাই এনামূল হক গতকাল মঙ্গলবার সিলেটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৩য় আদালতের বিচারক হরিদাস কুমারের আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় এনামুল হককে ৮ দিনের রিমান্ড শেষে চিফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো: সাইফুজ্জামান হিরো’র আদালতে হাজির করা হয়। সেখান থেকে দুপুর সোয়া ১টার দিকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য তাকে মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৩য় আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম।
এনামূল হক প্রায় ৩ ঘণ্টা আদালতে জবানবন্দির বরাত দিয়ে সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী বলেন, ফয়জুল বিপথগামী হয়ে জঙ্গিবাদে জড়িত হওয়ার বিষয়টি আগে থেকেই জানতো এনামুল ও তার মা-বাবা। এসব বিষয় তারা গোপন রেখেছেন। এমনকি তাকে সমর্থন যুগিয়েছিলেন তার বড় ভাই এনামুল হক। ড. জাফর ইকবালের উপর হামলার পর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যাতে তথ্য উপাত্ত না পায় এজন্য কম্পিউটারের মনিটর, সিপিইউ, মেমোরি কার্ড এবং যাবতীয় তথ্যসহ বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে পালিয়ে যায়। বিকেল সোয়া ৪টায় জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৩য় আদালতের বিচারক হরিদাস কুমার। আদালতে এনামুলের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে এ পুলিশ কর্মকর্তা আরো বলেন, তার ভাই ‘আহলে হাদিস’ নামে একটি ইসলামী সংগঠনের মাযহাবে দীক্ষিত হয়ে নামাজ পড়তো। এ নিয়ে এলাকার মসজিদের লোকজন বাধা দিলেও সে উল্টো তাদের এই তরিকা সম্পর্কে লোকজনকে বোঝানোর চেষ্টা করতো। তার সঙ্গীয়রাও তার সঙ্গে বাড়ির লোক ও অন্যদের বোঝাতো। তার বন্ধু সোহাগও তার সঙ্গে মানুষকে এই পথে আসার জন্য দাওয়াত করতো। ফয়জুলের এসব উদ্ভট আচরণ তার পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে অবহিত করেননি উল্লেখ করে এসি অমূল্য কুমার চৌধুরী বলেন, এক সময় পরিবারের সদস্যরাও ফয়জুলের ধর্মকর্ম মানা অনুসরণ করেন। এক্ষেত্রে এনামুলও বিপথগামী হয়ে অনলাইন থেকে ওয়াজ মাহফিল মেমোরি কার্ডে সংগ্রহ করে দিতো বলে আদালতকে জানায়।