সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জের ছাতক থানায় হামলা ভাংচুর ও লুটতরাজের ঘটনায় ২০ হেফাজত নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এসআই আনোয়ার মিয়া বাদী হয়ে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ (৩) ধারা তৎসঙ্গে বাংলাদেশ দন্ডবিধি আইনের ১৪৩/১৮৬/৩৩২/৩৩৩/৩৫৩/৩০৭/৪২৭ ধারায় ৯৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত ৯০০ জনের বিরুদ্ধে ছাতক থানায় একটি পুলিশ এসল্ট মামলা (নং-০৫) দায়ের করেছেন।
জানা যায়, গত ৩ এপ্রিল শনিবার হেফাজতের কেন্দ্রিয় নেতা মাওলানা মামুনুল হক রিসোর্টে আটকের খবরে হেফাজত কর্মীরা ছাতক থানা ঘেরাও করে পুলিশকে লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১০৮ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ২৬ রাউন্ড টিআরসেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। মিছিলকারীরা প্রায় আধঘন্টার তান্ডবে জমির উদ্দিনের আল আমিন ষ্টোর, বিশ্বজিত ঘোষের রাধারানী এন্টারপ্রাইজ, রতনমনি ঘোষের সুশিলা ষ্টোর ও রাজন ঘোষের এন আর ফার্মা নামের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে বিক্ষুব্ধ হামলাকারীরা মিছিল সহকারে হামলা চালিয়ে থানার গোলঘর ভাংচুরসহ পুলিশ সদস্য রাকিব, দিলসাদ, রবিউল আলম, সাইদুল ও সুবল দাস, পথচারী জুয়েল, সুজন মিয়া, দোকান কর্মচারী আলী আহমদসহ অন্তত ১৫ ব্যক্তিকে আহত করে। আহতদের ছাতক হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। হামলার ঘটনায় এজাহারভুক্ত হেফাজতে ইসলামের ২০ জন কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ওসি শেখ নাজিম উদ্দিন, এস আই হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে উপজেলার পৌর শহরের বিভিন্ন গ্রামে পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন-দেলোয়ার হোসেন (৩৬), মোহন মিয়া (২৮), আশরাফুল আলম (৩০), ফাহিম হোসেন রাবিব (২২), শামীম (২৫), তানভির আহমদ (২৯), আসাদ উল্লাহ রায়হান (২২), সৈয়দ মেহেদী (২৫), সাবাজ আলী (২১), শফিকুর রহমান (২৬), আলেক মিয়া (২২), জয়নাল আবেদীন (২৮), রাজন আহমদ (২৬), একরাম হোসেন (২২), সামছুদ্দিন (২৩), সুমন আহমদ (২০), আলী হোসেন (২৮), মোস্তাফিজুর রহমান ফাহিম (১৯), জনি আহমদ (১৯) ও আবুল হোসেন (৩০) প্রমুখ। গ্রেফতারকৃত আসামীদের সোমবার বিকালে সুনামগঞ্জ আদালতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ছাতক থানার ওসি শেখ নাজিম উদ্দিন।