জগন্নাথপুর থেকে সংবাদদাতা :
জগন্নাথপুরে হালুখালী চাতলা নদীতে নির্মাণ হচ্ছে সেতু। জগন্নাথপুর উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের দাওরাই বাজারের কাছে গভীর এ নদীটি অবস্থিত। নদীতে সেতু না থাকায় যুগযুগ ধরে অত্র অঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ ভোগান্তির শিকার হয়ে আসছেন। ইতোমধ্যে এ নদীতে নৌকা ডুবিতে ছাত্রছাত্রী নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এখনো প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে খেয়া নৌকা যোগে যাতায়াত করছেন মানুষ। প্রায়ই ঘটে নৌকা ডুবির ঘটনা। অবশেষে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের কাঙ্খিত স্বপ্ন পুরণ হতে চলেছে। এ নদীতে সেতু হলে জগন্নাথপুর ও ওসমানীনগর থানা এলাকার মানুষের সেতুবন্ধন হবে। যে কারণে সেতু নির্মাণের খবরে এ দুই উপজেলার মানুষের মধ্যে আনন্দের বন্যা বইছে।
স্থানীয়রা জানান, হালুখালী চাতলা নদীতে সেতু না থাকায় যুগযুগ ধরে অত্র অঞ্চলের মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। অবশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় ও পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের প্রচেষ্টায় হালুখালী নদীতে ৭০ মিটার দৈর্ঘ্যরে বৃহত সেতু নির্মাণের অনুমোদন হয়েছে। তবে এখনো সেতু নির্মাণ কাজের টেন্ডার হয়নি। চলছে মাটি সহ আনুসাঙ্গিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ। এসব কাজ শেষ হলে ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন হবে। এরপর টেন্ডার হয়ে গেলে স্বপ্নের সেতুর কাজ শুরু হবে। তাই হালুখালী নদীতে সেতু হওয়ার খবরে জনমনে আনন্দের বন্যা বইছে এবং প্রধানমন্ত্রী ও পরিকল্পনামন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।
২৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার হালুখালী চাতলা নদীতে সেতু নির্মাণের সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আজাদ আলী কবেরী ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কয়েছ ইসরাইল বলেন, ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় ও পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের প্রচেষ্টায় জগন্নাথপুর ও ওসমানীনগর থানা এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের কাঙ্খিত হালুখালী নদীতে সেতু নির্মাণ অনুমোদন হয়ে গেছে। অচিরেই শুরু হবে কাজ। এ সেতুটি নির্মাণ হলে মানুষের যুগযুগ ধরে চলে আসা ভোগান্তি কমে যাবে। সেতুবন্ধন হবে জগন্নাথপুর ও ওসমানীগর থানা এলাকার মানুষের। যে কারণে সেতু নির্মাণের খবরে সাধারণ মানুষের মধ্যে আনন্দের বন্যা বইছে।