দু’দিনে সিলেটে কালবৈশাখীর ঝড়-বৃষ্টি, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

6

স্টাফ রিপোর্টার :
টানা দু’দিন সিলেটের বিভিন্ন স্থানে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিপর্যস্ত হয়েছে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট ব্যবস্থা। ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলোতে প্রায় ২০ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক হয় বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সেসব এলাকার মানুষ।
জানা গেছে, গত সোমবার পবিত্র শবে বরাতের রাত আড়াইটার দিকে প্রায় আধা ঘণ্টার কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায় দক্ষিণ সুরমা, ওসমানীনগর ও গোলাপগঞ্জসহ বিভিন্ন উপজেলার অনেকগুলো কাঁচা ঘর এবং অনেক জায়গায় শিলা বৃষ্টিও হয়। কোথাও আধা-কাঁচা ঘরের টিন উড়ে যায় ও গাছ-পালা উপড়ে পড়ে। বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেটের তার ছিঁড়ে পড়ে বিভ্রাট দেখা দেয়। পরদিন মঙ্গলবার দুপুরের পরে এসব এলাকায় স্বাভাবিক হয় বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট ব্যবস্থা।
সোমবার দিবাগত রাতের কালবৈশাখীর জের কাটতে না কাটতেই মঙ্গলবার সন্ধ্যারাত সাড়ে ৭টার দিকে সিলেটের বিভিন্ন স্থানে আবারও বয়ে যায় ধমকা হাওয়া ও বজ্রঝড় এবং শিলাবৃষ্টি। আধা ঘণ্টা ধরে বয়ে যাওয়া এই কালবৈশাখিতে আবারও লন্ডভন্ড হয় সিলেটের বিভিন্ন উপজেলার ঘরবাড়ি। ফের বিপর্যস্ত হয় বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট ব্যবস্থা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- দক্ষিণ সুরমা, ওসমানীনগর, বালাগঞ্জসহ সিলেটের দক্ষিণাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত টানা ২০ ঘণ্টা ছিলো বিদ্যুৎহীন। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন এসব এলাকার মানুষ। ব্যঘাত ঘটে দৈনন্দিন ও অফিসিয়াল কার্যক্রমে। এদিকে, দীর্ঘ ২০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের উপর অনেকেই চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ভুক্তভোগীদের বক্তব্য, শুকনো মৌসুমে ঠিকমতো বৈদ্যুতিক খুঁটি-তার মেরামত ও লাইনের উপরের গাছ কর্তন করলে গ্রাহকদের এমন দুর্ভোগে পড়তে হতো না। বিদ্যুৎবিভাগের খামখেয়ালিপনাই এই পরিস্থিতির জন্য সম্পূর্ণ দায়ী। সামান্য বাতাস দিলেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। আগামীতে এরকম হলে কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন বলে জানান স্থানীয়রা।
দক্ষিণ সুরমা, ওসমানীনগর, বালাগঞ্জসহ সিলেটের দক্ষিণাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকায় দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ না থাকার বিষয়ে ওসমানীনগরের তাজপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম জহিরুল ইসলাম বলেন, আমরা যথাসময়ে ঠিকমতোই লাইনে মেরামত কাজ করি। শুকনো মৌসুম শুরুর পর প্রায় ৬ মাস মেরামত কাজ করা হয়। ৬ মাসের শুরুতে যেসব এলাকায় কাজ করা হয় ৬ মাসের মাথায় সেসব এলাকায় লাইনের উপর আবারও গাছ-বাঁশ চলে আসে। আর ঝড়-বৃষ্টি হলেই এসব গাছ-বাঁশ বৈদ্যুতিক খুঁটি ও তারের উপর পড়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তিনি বলেন, তবে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার বা বিপর্যয় দেখা দেয়ার পর পরই আমরা তড়িৎ গতিতে ব্যবস্থা নেই এবং যত দ্রত সম্ভব সংযোগ প্রদানের চেষ্টা করি।