জেড. এম. শামসুল :
অগ্নি ঝরা ২৩ মার্চ আজ। এই দিনে এক সংবাদ সম্মেলনে ভুট্টো জানান, মুজিব ও ইয়াহইয়ার মধ্যে মতৈক্য হয়েছে এবং তিনি তা পরীক্ষা করে দেখেছেন। ইয়াহইয়ার সাথে বৈঠক শেষে বঙ্গবন্ধু সাংবাদিকদের বলেন, আলোচনার অগ্রগতি না হলেও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি কেন ? আসলে ভুট্টোর কু-পরামর্শে বঙ্গবন্ধুর সব দাবিই ইয়াহইয়া মেনে নেয়ার আশ্বাস দেন। এটা তার কৌশল মাত্র। যাতে মুজিব তাদের বিরুদ্ধে জনগণকে চূড়ান্ত যুদ্ধের প্রস্তুত করার সময় না পান। এদিন সংবাদপত্রগুলো “বাংলার স্বাধীনতা” শীর্ষক বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে বঙ্গবন্ধুর শুভেচ্ছা বাণী সহ।
এদিন বঙ্গবন্ধু তার বাণীতে বলেন, বাংলাদেশের সাড়ে ৭ কোটি মানুষের সার্বিক মুক্তির জন্য আমাদের আজকের এ সংগ্রাম। অধিকার বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত এ সংগ্রাম চলবে। কোন প্রকার বুলেট-বেয়নেট দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে আর স্তব্ধ করা যাবে না। কেননা জনতা আজ ঐক্যবদ্ধ। জয় বাংলা।
এদিন তিন বাহিনীর প্রাক্তন সদস্যরা বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে স্বাধীনতার শপথ গ্রহণ করেন। কর্ণেল ওসমানীও শপথ গ্রহণ করেন। এদিন পশ্চিম পাকিস্তানী নেতৃবৃন্দ ওয়ালী খান, দৌলতান, শওকত, হায়াত, মুফতি মোহাম্মদ প্রমুখ জল্লাদ ইয়াহইয়ার সাথে দেখা করেন