বিশ্বের প্রতিটি দেশের সাধারণ মানুষের জন্যে সুপেয় পানির ব্যবহারে জাতি সংঘ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। যে ভাবে মানুষ বিশুদ্ধ পানি পান করে, বিশ্ব আধুনিক ভাবে এগুলেও মানুষের স্বাস্থ্য উপযোগী পানির অভাব এখনও বিদ্যমান। বিশুদ্ধ পানির ব্যবহার বাড়াতে বিশ্ব সংস্থাসহ প্রতিটি দেশের সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আমাদের দেশেও বিশুদ্ধ পানি ব্যবহারে বিভিন্ন কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। যা‘ দেশি-বিদেশী সংস্থা গুলো বিশুদ্ধ পানি ব্যবহারে জনগণকে সচেতনতা সৃষ্টি করছে।
পানির অপর নাম জীবণ, পানি ছাড়া জীবন ধারণ করা যায় না। মানুষের জীবন ধারণের উপাদানের মধ্যে অন্যতম পানি, এ পানির অভাব হলে জীবন ধারণ সম্ভব নয়। তাই প্রতিটি দেশের মানুষের জন্যে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থায় বিশ্ব সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে।
জাতি সংঘ বিশ্বের সাধারণ মানুষের মধ্যে সুপেয় পানি সরবরাহ করার লক্ষ্যে প্রতিবছর ২২ মার্চ সুপেয় পানি দিবস পালন করে আসছে। এবারের ঘোষণা হচ্ছে, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে সর্বত্র সুপেয় পানি সরবরাহ করার পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা। বিশেষ করে আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ এ যুগেও সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ পুকুরে পানি, নদ-নদীর, কুয়ার পানি পান করছেন।
তবে জাতি সংঘের উদ্যোগে বিশুদ্ধ পানি পানের জণ্যে টিউবওয়েল প্রদান করলে ও এগুলোর পানি কতটুকু বিশুদ্ধ তা নিয়ে রয়েছে নানান সন্দেহ। অনেক স্থানে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হয় এ গুলোতে ব্যাকটেরিয়া রয়েছে, পুকুরের পানিতে ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি রয়েছে। এ ছাড়াও বোতলজাত পানিও নিরাপদ নয়। বিশ্ব সংস্থা ইউনিসেফ এর দেয়া অসংখ্যক টিউবওয়েলের পানিতে রয়েছে আর্সেনিক যা জন স্বাস্থ্যের জন্যে হুমকি।
বিশেষজ্ঞ মহলের মতে; আমাদের দেশ নদী মাতৃক দেশ হিসাবে খ্যাত হলেও শুকনো মৌসুমে সারাদেশ পানি শুন্য থাথে, পানি সংরক্ষণের অভাবে সর্বত্র তীব্র পানি সংকটের মধ্যে পড়তে হয়। এমনকি ভূগর্ভস্থ পানির অভাব দেখা দেয়। এ অবস্থা থেকে রেহাই পেতে পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করনে সবাইকে সচেতন হতে হবে।