স্টাফ রিপোর্টার :
বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় অসন্তুষ প্রকাশ করে বলেছেন, আমি দেখেছি অনেকেই আমার এবং সাধারণ সম্পাদক লেখকের ছবি দিয়ে পৃথক পৃথক ব্যানার-ফেস্টুন বানিয়ে টাঙিয়েছেন। এ সব করবেন না। এসব গ্রুপি সৃষ্টি করে। আর কখনই এমন করবেন না, গ্রুপিংকে প্রশ্রয় দিবেন না। আমরা সবাই মিলেমিশে থাকতে চাই। গতকাল শনিবার নগরীর রিকাবীবাজারস্থ কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কর্মিসভায় সভাপতির বক্তব্যে আল-নাহিয়ান খান জয় এ কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় সভাপতি আরোও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। তবে বঙ্গবন্ধুর কন্যা, দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এমন উন্নয়নের বিরোধিতা করছে জামায়াত শিবিরের প্রেতাত্মারা। তাঁরা আল জাজিরার মাধ্যমে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। তবে দেশের মানুষ বুঝে শেখ হাসিনার বিপল্প নেই। সেজন্য দেশের মানুষ তাদের প্রতিহত করছে। ভবিষ্যতেও করবে।
এদিকে, কর্মিসভায় সিলেট জেলা ও মাহনগর ছাত্রলীগের কমিটি দ্রুততম সময়ের মধ্যেই অনুমোদন দেয়া হবে বলে ঘোষণা দেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্য। তিনি বলেন, আপনারা সিলেট ছাত্রলীগ আমাদের অনেক দিয়েছেন। এখন আমাদের দেবার পালা। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি দেয়া হবে। আমরা যে কমিটি দেব সেই কমিটির নেতৃৃত্বে আপনারা কাজ করবেন।
এদিকে, সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার কর্মিসভার অনুষ্ঠানস্থল নগরীর রিকাবীবাজারস্থ কবি নজরুল অডিটোরিয়াম ঘুরে দেখা গেছে, গতকাল শনিবার সকাল থেকে অনুষ্ঠানস্থলজুড়ে নেতাকর্মীদের উপচেপড়া ভিড়। অডিটোরিয়ামের ভেতরে নির্দিষ্ট আসন সংখ্যায় মাত্র ৬০০ মানুষের সংকুলান হয়। মহামারি করোনার সংক্রমণের এই সময় বদ্ধ ঘরে অবস্থান করছেন হাজারেরও বেশি নেতাকর্মী। সবাই গরমে করেন হাঁসফাঁস, বেশিরভাগের মুখে নেই এই সময়ের অত্যাবশ্যকীয় জিনিস মাস্ক। এই পরিবেশে কর্মিসভার আয়োজন করার জন্য অনেককে অনুষ্ঠানস্থলেই ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন কমিটিবিহীন সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগকে চাঙ্গা করতে সিলেট আসেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। গতকাল শনিবার ১২টা ৫০ মিনিটে বিমানের একটি ফ্লাইটে করে তারা সিলেটে আসেন। এসময় তাদেরকে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে স্বাগত জানান সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃৃবৃন্দ।
এদিকে, কেন্দ্রীয় নেতাদের আগমনের খবরে দীর্ঘদিন ধরে স্থবির হয়ে পড়া সিলেট জেলা এবং মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসে। এই কর্মীসভাকে নেতাকর্মী অনেকেই দুটি ইউনিটের কমিটি গঠনের প্রাক প্রস্তুতি হিসেবেই দেখছেন। দীর্ঘদিন পর সিলেট ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের সুরে নেতাকর্মীদের মাঝে বিরাজ করতে দেখে গেছে উৎসবের আমেজ। কর্মীসভাকেই সামনে রেখে ডিজিটাল ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। নির্মাণ করা হয়েছে তোরণও।