আল-কুরআনে উদ্ধৃত আম্বিয়া (আ:) উম্মতের দোয়া

30

॥ মুহাম্মদ মনজুর হোসেন খান ॥

(পূর্ব প্রকাশের পর)
বনী ইসরাঈল যখন হযরত মূসা (আঃ)-এর নিকট আল্লাহপাকের বাণী সরাসরি শোনার আবেদন করলো, তখন হযরত মূসা (আঃ) তাদের সত্তর জন নেতা নিয়ে তুর পাহাড়ে গমন করেন। আল্লাহপাক হযরত মূসার সঙ্গে কথা বললেন এবং তারা তা শুনতে পেলো। তৎসত্ত্বেও তারা বললো, আমরা নিজেদের চোখে আল্লাহকে না দেখলে শুধু কথা শুনে বিশ্বাস করবো না। তখন প্রচন্ড ভূকম্পনে তারা মুত্যুমুখে পতিত হলো। এ মুহূর্তে মূসা (আঃ) আল্লাহপাকের নিকট নিবেদন করেন আমাদের মধ্যে যারা নির্বোধ তাদের কৃতকর্মের কারণে কি আপনি আমাদেরকে ধ্বংস করে দেবেন? তারপর তিনি প্রার্থনা করেন, ‘‘আপনিই তো আমাদের অভিভাবক সুতরাং আমাদেরকে ক্ষমা করুন ও আমাদের প্রতি দয়া করুন। ক্ষমাশীলদের মধ্যে আপনিই শ্রেষ্ঠ’’ (সূরা- আরাফ-১৫৫)।
তখন হযরত মূসা (আঃ)-এর দোয়ায় তারা সকলে পুনরায় জীবিত হলো। হযরত মূসা (আঃ) বনী ইসরাঈলদের নিয়ে সিনাই মরুভূমিতে অবস্থানকালে তাদেরকে বললেন, পার্শ্ববর্তী আরীহা জনপদে তোমরা প্রবেশ কর। সেখানে অত্যাচারী শত্রুবাহিনীর বিরুদ্ধে জিহাদে অবতীর্ণ হও। আল্লাহপাকের ওয়াদা রয়েছে- তোমাদের পিতৃভূমি পুনরায় তোমাদের অধিকারে আসবে। বনী ইসরাঈল অভদ্রোচিত ভাষায় বললো, হে মূসা (আঃ) তুমি তোমার প্রভুকে সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে সেখানে গিয়ে যুদ্ধ কর। আমরা এখানেই রইলাম। হযরত মূসা (আঃ) তখন আল্লাহপাকের নিকট আরজ করেন- ‘‘হে আমার রব, আমার ও আমার ভ্রাতা ব্যতীত অপর কারও ওপর আমার আধিপত্য নেই, সুতরাং আপনি আমাদের ও সত্যত্যাগী সম্প্রদায়ের মধ্যে ফায়সালা করে দিন’’ (সূরা-মায়িদা-২৫)।
হযরত দাউদ (আঃ)-এর প্রার্থনা : আল্লাহতাআলা হযরত দাউদ আলাইহিস সালাম-এর প্রশংসায় বলেনে, দাউদ (আঃ) অতিশয় আল্লাহ অভিমুখী ছিলেন। পর্বতমালা ও বিহঙ্গকুল হযরত দাউদ (আঃ)-এর সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহপাকের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করত। আল্লাহতাআলা হযরত দাউদ (আঃ)-এর রাজ্যকে সুদৃঢ় করেছিলেন এবং তাঁকে অনেক প্রজ্ঞা ও মীমাংসাকারী বাগ্মিতা দান করেছিলেন। হযরত দাউদ (আঃ) ও তাঁর পুত্র সুলাইমান আলাইহিস সালামকে আল্লাহপাক বিভিন্ন বিষয়ে প্রভূত জ্ঞান দান করেছিলেন। তারা উভয়ে আল্লাহপাকের নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করে দোয়া করেন, ‘‘সকল প্রশংসা আল্লাহরই যিনি আমাদেরকে তাঁর বহু মুমিন বান্দার উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন’’ (সূরা-নাম্ল-১৫)।
হযরত সুলাইমান (আঃ)-এর দোয়া : হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম ছিলেন বিশাল রাজ্যের অধিপতি। তাঁর রাজত্ব শুধু মানুষের উপরই সীমিত ছিল না; বরং জিন, পশু, পাখি, ও বাতাসের উপরও তাঁর আধিপত্য ছিল। এই সব কিছু আল্লাহ পাকের হুকুমে হযরত সুলাইমানের নির্দেশের আনুগত ছিল। তাঁর এত ব্যাপক ক্ষমতার কারণ ছিল, তিনি একবার আল্লাহ পাকের নিকট প্রার্থনা করেছিলেন, ‘‘হে আমার প্রতিপালক, আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমাকে দান করুন এমন এক রাজ্য, যা আমার পর আর কারো হাসিল হবে না। নিশ্চয় আপনি পরম দাতা’’ (সূরা- সাদ-৩৫)। আল্লাহ তা’আলা তাঁর এ দোয়া কবুল করেছেন। তাঁকে এমন বিস্ময়কর রাজত্ব দান করা হয় যা তাঁর আগে বা পরে দ্বিতীয় কাউকে দেয়া হয়নি।
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন বলেছেন, গত রাত্রে জনৈক অবাধ্য জিন আমার নামাজ নষ্ট করার চেষ্টা করেছিল। তখন আল্লাহতাআলা তাঁর উপর আমাকে ক্ষমতা প্রদান করলেন। আমি তাকে পাকড়াও করে ইচ্ছা করলাম, তাকে মসজিদের খুঁটির সঙ্গে আবদ্ধ করে রাখি। যাতে তোমরা সকালে তাকে দেখতে পাও। কিন্তু তখনই আমার ভাই সুলাইমান (আঃ)-এর দোয়া তিনি আল্লাহ পাকের নিকট আরজ করেছিলাম হে আল্লাহ, আমাকে এমন এক রাজত্ব দান করুন যার অধিকারী আমি ছাড়া আর কেউ হবে না। একথা স্মরণ হওয়া মাত্র আমি তাকে ছেড়ে দেই। হযরত সুলাইমান (আঃ) দীর্ঘদিন যাবত বিশাল রাজ্য পরিচালনা করেন। মানুষ, জিন, পশু, পাখি সকলেই তাঁর হুকুমের অনুগত ছিল। তিনি সকল পশু পাখির ভাষা বুঝতেন। তিান সুষ্ঠু বিচারকার্য পরিচালনায় অসাধারণ জ্ঞান ও প্রজ্ঞার অধিকারী ছিলেন। আল্লাহ প্রদত্ত এই চতুর্মুখী ও সর্বব্যাপী অনুগ্রহ লাভ করে তিনি আল্লাহ পাকের শুকরিয়া ও কৃতজ্ঞতা আদায় করে মোনাজাত করেন, ‘‘হে আমার প্রাতিপালক, আমাকে সামর্থ্য দিন যাতে আমি আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি আমার প্রতি ও আমার পিতা-মাতার প্রতি আপনি যে অনুগ্রহ করেছেন তাঁর জন্য এবং যাতে আমি সৎকর্ম করতে পারি, যা আপনি পসন্দ করেন এবং আপনার অনুগ্রহে আমাকে আপনার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাদের শ্রেণীভুক্ত করুন।-সুরা নামল-১৯।’’
হযরত আইয়ুব (আঃ)-এর দোয়া : হযরত আইয়ুব আলাইহিস সালাম ঐশ্বর্য, প্রচুর্য ও সন্তান-সন্ততির দিক থেকে অত্যন্ত সফল ও ভাগ্যবান ছিলেন। হঠাৎ করে শুরু হল তাঁর ঈমানী পরীক্ষা। তাঁর সহায়-সম্পদ, পরিবার-পরিজন, শরীর ও প্রাণ মহাসংকটের আবেষ্টনীতে পতিত হলো। অর্থবিত্ত ধ্বংস হলো, স্বজন-পরিজনের মৃত্যু ঘটলো এবং দেহ কঠিন রোগে আক্রান্ত হলো এ ধরনের মহাদুর্দশায় আপতিত হয়েও তাঁর কোনো অভিযোগ নেই, অনুযোগ নেই; বরং তিনি সবর ও ধৈর্যের সঙ্গে আল্লাহপাকের নিকট শুধু অবস্থা পেশ করে বললেন, ‘‘শয়তান তো আমাকে যন্ত্রণা ও কষ্টে ফেলেছে।’’-সূরা সাদ-৪১। যেহেতু মন্দ কাজ কোনো না কোনোভাবে শয়তানের প্ররোচনার প্রতিফলন, তাই আইয়ুব (আঃ) তাঁর কষ্ট ও যন্ত্রণার জন্য শয়তানকে দায়ী করেছেন অথবা অসুস্থতার সময় শয়তান তাঁর ধৈর্যচ্যুতি ঘটাতে চেষ্টা করলে তিনি মানসিক কষ্ট পান এবং আল্লাহতাআলার নিকট এই দু’আ করেন। তারপর হযরত আইয়ুব আলাইহিস সালাম নিজের অবস্থা প্রকাশের জন্য অতি উচ্চাঙ্গের ও অলঙ্কারমন্ডিত বর্ণনাভঙ্গি গ্রহণ করে প্রর্থনা করেন, ‘‘আমি দুঃখকষ্টে পড়েছি, আর আপনি তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।’’ সূরা আম্বিয়া-৮৩। আল্লাহপাক হযরত আইয়ূব আলাইহিস সালামের দু’আ কবুল করেন। তাঁর যে বিত্তবৈভব ও সন্তান-সন্তনি ধ্বংস হয়ে ছল, আল্লাহপাক তাঁর দ্বিগুণ তাকে দান করেন। আর তাঁর সুস্থতার জন্য একটি প্রসবণ প্রবাহিত করেন, যার সুশীতল পানিতে গোসল করে এবং পানি পান করে তিনি সুস্থ হন।
হযরত ইউনুস (আঃ)-এর প্রার্থনা : হযরত ইউনুস আলাইহিস সালাম দীর্ঘদিন মানুষকে তাওহীদের দাওয়াত দিতে থাকেন। তাঁর সম্প্রদায় সত্যের আহবানে কোনোরূপ কর্ণপাত করেনি; বরং অহমিকা ও ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করে আল্লাহ পাকের নাফরমানীতে লিপ্ত থাকে। আর অতীত যুগের সীমালঙ্ঘনকারী সম্পদায়ের মত সত্য দ্বীনের আহবানকারী পয়গম্বরের সঙ্গে ঠাট্টাতামাশা করতে থাকে। হযরত ইউনুস (আঃ) আপন সম্প্রদায়ের লাগাতার শত্রুতা ও বিরোধিতায় খুবই দুঃখিত হন। এক পর্যায়ে তিনি তাদের প্রতি বদ দু’আ করে তাদের কাছ থেকে অন্যত্র রওয়ানা হন। তিনি নিজ অঞ্চল ইরাকের নিনাব থেকে বের হয়ে ফুরাত নদীর তীরে পৌঁছেন।
এখানে এসে তিনি লোক বোঝাই জাহাজে আরোহণ করেন। নদীতে কিছুদূর অগ্রসর হওয়ার পর বিক্ষুব্ধ ঝঞ্ঝায় জাহাজ নিমজ্জিত হওয়ার উপক্রম হয়। জাহাজের চালকগণ বললেন, মনে হয় নৌযানে কোনো পলাতক গোলাম রয়েছে। তাকে আমাদের পৃথক না করা হলে আমাদের থেকে পৃথক না করা হলে আমাদের রক্ষা পাওয়া মুশকিল হবে। হযরত ইউনুস (আ.) ভাবলেন, ওহীর অপেক্ষা ব্যতীত নিনাব থেকে আমার চলে আসা আল্লাহ পাক পছন্দ করেননি। তিনি সকলকে বললেন, আমিই আমার মনিবের কাছ থেকে অনুমতি ব্যতীত পলায়ন করে চলে এসেছি। সুতরাং আমাকে নদীতে নিক্ষেপ করে দিন। কিন্তু কেউ তাঁকে ফেলতে সাহস করল না। শেষে লটারী দেয়ার সিদ্ধান্ত হল। লটারিতে তাঁর নামই আসল। সঙ্গে সঙ্গে হযরত ইউনুস (আঃ) নদীতে ঝাঁপ দিলেন। তখনই তাঁকে এক বিরাট মাছ গলাধঃকরণ করলো। আল্লাহ পাক মাছকে হুকুম দিলেন, ইউনুস তোমার খাদ্য নয়; তোমার উদর তাঁর কয়েদখানা মাত্র। হযরত ইউনুস আলাইহিস সালাম আল্লাহর অভিমুখে অথৈ জলরাশির গভীর অন্ধকার তলদেশে মাছের পেটের অন্ধকার হৃদয়বিগলিত আর্তনাদসহ দয়াময় পরম দয়ালু, সর্বশ্রেষ্ঠ সাহায্যকারী ও একমাত্র আশ্রয়স্থল মহান রবের নিকট সকরুণ প্রার্থনা করেন। ‘‘আপনি ব্যতীত কোনো ইলাহ নাই, আপনি পবিত্র, মহান। নিশ্চয়ই আমি নিজের প্রতি অত্যাচারী।’’-সূরা আম্বিয়া-৮৭। আল্লাহ আরহামুর রাহিমীন হযরত ইউনুসের এই দরদভরা প্রার্থনা কবুল করেন। তিনি মাছকে হুকুম করেন, ইউনুস তোমার নিকট আমার আমানত, তাকে উগলে দাও। মাছ নদীর কিনারায় গিয়ে কিনারায় গিয়ে তাঁকে উগলে দিল। হযরত ইউনুস (আঃ) আল্লাহ্ পাকের অনুগ্রহে কঠিন বিপদ থেকে রক্ষা পান। এই দু’আ সম্পর্কে হযরত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহপাকের একটি নাম হলে তিনি জওয়াব দেন যার দ্বারা প্রার্থনা করা হলে তিনি দান করেন। তাহলো ইউনুছ ইবনে মাত্তা দোয়া।
হযরত যাকারিয়া (আঃ)-এর দোয়া : হযরত ঈসা (আঃ)-এর মাতা হযরত মারইয়াম আলাইহি সালাম কৈশোরকালে বাইতুল মুকাদ্দাসের একটি কুঠরিতে আল্লাহপাকের ইবাদত বন্দেগী করতেন। তৎকালীন নবী হযরত যাকারিয়া আলাইহিস সালাম ছিলেন হযরত মারইয়ামের খালু। তিনি যখন হযরত মারইয়ামের হুজরাতে প্রবেশ করতেন, তখনই তাঁর নিকট বে-মওসুম ফল দেখতে পেতেন। এতে তিনি বিস্মিত অভিভূত হন। একদিন জিজ্ঞাসা করলেন, হে মারইয়াম তোমার নিকট এসব ফল কোথা থেকে আসে? উত্তরে মারইয়াম বললেন, এগুলো আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে আসে। আল্লাহ তাআলা যাকে ইচ্ছা অপরিমিত জীবিকা দিয়ে থাকেন।
হযরত জাকারিয়া (আ.) নিঃসন্তান ছিলেন। তখন তাঁর বয়স সাতাত্তর বছর। এবং তাঁর স্ত্রী বন্ধ্যা। তিনি সন্তান হওয়ার ব্যাপারে নিরাশ ছিলেন। কিন্তু হযরত মারইয়ামের নিকট অকালে ফল দেখে তাঁর হৃদয়ে উদ্দীপনা সৃষ্টি হল যে, যে মহান সত্তা অকালে ফল পাঠাতে পারেন তিনি আমার প্রতিও দয়াপরবশ হয়ে আমাকে বার্ধক্যে সন্তান দান করতে পারেন। যে সন্তান আমার অবর্তমানে দ্বীনী দাওয়াতের খেদমত আঞ্জাম দেবে। তখন তিনি আল্লাহ পাকের নিকট সবিনয় নিবেদন করেন, ‘‘হে আমার প্রতিপালক, আমার অস্থিদুর্বল হয়ে গেছে, বার্ধক্যে আমার মস্তক শুভ্রোজ্জ্বল হয়েছে। হে আমার প্রতিপালক, আপনাকে আহবান করে আমি কখনও ব্যর্থকাম হইনি। আমি আশঙ্কা করছি আমার পর আমার স্বগোত্রীয়দের সম্পর্কে; আমার স্ত্রী বন্ধ্যা; সুতরাং আপনার নিকট থেকে আমাকে দান করুন উত্তরাধিকারী, যে আমার উত্তরাধিকারীত্ব করবে এবং উত্তরাধিকারীত্ব করবে ইয়াকুবের বংশের। হে আমার প্রতিপালক, তাকে করুন সন্তোষভাজন।’’-সূরা মারইয়াম-৪-৬। হযরত যাকারিয়ার নিকট সন্তানের দৌলত থেকে বঞ্চিত থাকা কোনো দুঃখের বা চিন্তার কারণ ছিল না; বরং তিনি নবুওয়াত ও দ্বীনী শিক্ষার উত্তরাধিকারীত্বের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন ছিলেন। এজন্য তিনি অতিশয় বিনয়াবনত হয়ে প্রার্থনা করেছেন, ‘‘হে আমার রব,আমাকে নিঃসন্তান রাখবেন না। আপনি তো চূড়ান্ত মালিকানার অধিকারী।’’ সূরা: আম্বিয়া-৮৯। কখনও তাঁর হৃদয়ের গহীন অতল কন্দর থেকে উথলে ওঠে করুণ আর্তি-‘‘হে আমার প্রতিপালক, আমাকে আপনার নিকট থেকে সৎ বংশধর দান করুন। আপনিই প্রার্থনা শ্রবণকারী।’’-সূরা আলে ইমরান ৩৮
আল্লাহ পাকের মনোনীত একজন নবীর সকাতর প্রার্থনা, প্রার্থনা নিজের জন্য নয়; বরং সমাজ ও জাতির পথ প্রদর্শন ও কল্যাণচিন্তায়, সঙ্গে সঙ্গে কবুল হল। হযরত যাকারিয়া (আ.) ইবাদতে মশগুল ছিলেন। এমন সময় ফেরেশতার অবির্ভাব ঘটল। ফেরেশতা সুসংবাদ দিলেন, আপনার একজন পুত্রসন্তান জন্মলাভ করবে, আপনি তাঁর নাম ইয়াহইয়া রাখবেন। একথা শুনে হযরত যাকারিয়া (আ.) সীমাহীন আনন্দিত হন। (সমাপ্ত)