একে কুদরত পাশা সুনামগঞ্জ থেকে :
দেশের মানুষকে অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস), তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ ও এটুআই কর্মসূচী যৌথভাবে এই অ্যাপ তৈরি করেছে। তবে এর সুফল পাচ্ছে না গ্রামের মানুষ। রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের একজন নার্সকে টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে সারা দেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। ২৭ জানুয়ারি বুধবার বিকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে জেলা পর্যায়ে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার ‘সবাই মিলে শপথ করি, করোনাভাইরাস সহনীয় গ্রাম গড়ি’ শ্লোগানকে সামনে রেখে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-বাংলাদেশের উদ্যোগে ও এসডিসির সহযোগিতায় ছাতক উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের চেচান গ্রামে সহায়ক লুৎফা বেগম উঠান বৈঠকের আয়োজন করেন। উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাসুক মিয়া।
উঠান বৈঠকে উপস্থিত কলেজ ছাত্রী মিনা বেগম, লিমা বেগম, গ্রামের মহিলা সবুতারা বিবি, তাহমিনা ও মাহমুদার সাথে কথা বলে জানা যায়, করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার জন্য তারা কেউই নিবন্ধন করেননি। এমনকি কোথায় গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে তা ও তাদের কাছে স্পষ্ট নয়।
কলেজ ছাত্রী মিনা বেগম বলেন, টিভিতে দেখলাম অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে, কিন্তু গ্রামের মানুষের সে সুযোগ নেই। সরকারী, বে-সরকারী ভাবে বাড়ী বাড়ী গিয়ে নিবন্ধনের ব্যবস্থা করলে হয়ত গ্রামের মানুষ উপকৃত হত নতুবা শহরের মানুষই উপকৃত হবে।
সবুতারা বিবি জানান, খালি হুনছি করোনা নামে এক বেমার আইছে। লুৎফা আপা মাঝে মাঝে আইয়া মুখও মাস্ক পরার কথা কইন। টিকা উকা আমরা নিছি না। কোনানও গেলে পাইমু তাও জানিনা।