নতুন সুবিধা ঘোষণা, সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য, এ্যাম্বুলেন্স ও ফ্রিজিং ভ্যান পাবেন ৫শ’ টাকায়

62

কাজিরবাজার ডেস্ক :
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নতুন সুবিধা ঘোষণা করা হয়েছে। এখন থেকে সরকারি চাকরিজীবী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের এ্যাম্বুলেন্স এবং লাশবাহী ফ্রিজিং ভ্যান ব্যবহার করতে পারবেন ৫০০ টাকায়। এজন্য একটি নীতিমালা তৈরি করেছে সরকার।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন স্বাক্ষরিত ‘ফ্রিজিং ভ্যান ও এ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার নীতিমালা-২০২০’ জারি করা হয়। এতে এ্যাম্বুলেন্স ও লাশবাহী ফ্রিজিং ভ্যান কীভাবে, কত টাকা ভাড়ায় এবং কোন প্রক্রিয়ায় ভাড়া হবে- তা নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
নীতিমালায় বলা হয়, ঢাকা শহর ও এর আশপাশের ২০ কিলোমিটারের মধ্যে ৫০০ টাকা এবং পরবর্তী প্রতি কিলোমিটার ৩ টাকা হারে ভাড়া নেওয়া হবে। গাড়ি ব্যবহারের পর গাড়িতে সংযোজিত ভেহিকেল ট্রেকার অতিক্রান্ত দূরত্ব অনুযায়ী প্রকৃত দূরত্ব হিসেবে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কোডে তিনদিনের মধ্যে বিল পরিশোধ করতে হবে। চালানের মূলকপি সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরে জমা দিয়ে না-দাবিপত্র সংগ্রহ করতে হবে। প্রাপ্ত আয় নন-ট্যাক্স রেভিনিউ হিসেবে গণ্য হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য, সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরের বিদ্যমান লাশবাহী ফ্রিজিং ভ্যান ও অসুস্থ ব্যক্তি পরিবহনকারী এ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনো সুস্পস্ট নীতিমালা না থাকায় যানবাহনগুলোর যথাযথ ব্যবহারের জন্য একটি নীতিমালার প্রয়োজন রয়েছে। এ বিবেচনায় এই নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।
নীতিমালায় বলা হয়, ব্যবহারকারী হিসেবে যোগ্য ব্যক্তির স্ত্রী-স্বামী, বাবা-মা, শ্বশুর-শাশুড়ি, ছেলে-মেয়ে, অপ্রাপ্ত বয়স্ক ভাই, অবিবাহিত/তালাকপ্রাপ্ত/বিধবা বোন, পিতামহ-পিতামহী এবং পুত্রের বিধবা স্ত্রী ও শিশু সন্তান ব্যবহার করতে পারবেন। ফ্রিজিং ভ্যান ব্যবহারের ক্ষেত্রে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা, সংসদ সদস্যরা, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের সব কর্মচারী ব্যবহারকারী হিসেবে গণ্য হবেন এবং ব্যবহারকারীর পরিবারের সদস্যরা এ সুবিধার আওতাভুক্ত হবেন।
আর এ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারের ক্ষেত্রে মন্ত্রী পরিষদ সদস্যরা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার সব কর্মচারী, অন্যান্য মন্ত্রণালয়/বিভাগের নবম বা তদুর্ধ্ব গ্রেডের কর্মচারীরা ব্যবহারকারী হিসেবে গণ্য হবেন। ব্যবহারকারীর পরিবারের সদস্যরা এ সুবিধার আওতাভুক্ত হবেন।
নীতিমালায় বলা হয়, এ্যাম্বুলেন্স কিংবা ফ্রিজিং ভ্যান প্রয়োজন হলে ব্যবহারকারী অথবা তার পরিবারের যে কোনো সদস্য নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন করতে পারবেন। সার্বক্ষণিক সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে পরিবহন কমিশনার হট লাইন নম্বর চালু এবং অনলাইনে আবেদন গ্রহণের ব্যবস্থা করবেন। পরিবহন কমিশনার এ সেবা দেওয়ার জন্য উপযুক্ত কর্মচারীকে দায়িত্ব দেবেন। আবেদনকারীর সংখ্যা একই সময়ে একাধিক হলে অগ্রাধিকার বিষয়ে পরিবহন কমিশনারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হিসেবে গণ্য হবে।
এতে আরও বলা হয়, সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরের অনুমোদনক্রমে দেশের যে কোনো অঞ্চলে এ্যাম্বুলেন্স ও ফ্রিজিং ভ্যান ব্যবহার করা যাবে। লাশ বা অসুস্থ ব্যক্তি পরিবহন ব্যতীত অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ফ্রিজিং ভ্যান ও এ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করতে পারবেন না। যেসব অঞ্চলের রাস্তায় যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী, গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে সেসব অঞ্চলে সাধারণভাবে যাতায়াত করা যাবে না। অনুমোদিত চলাচলের ক্ষেত্রে যানবাহনের কোনো ক্ষতি হলে সংশ্লিষ্ট আবেদনকারী প্রচলিত বিধি-বিধান অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকবেন।
এ্যাম্বুলেন্স ও ফ্রিজিং ভ্যান সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর থেকে বুঝে নেওয়ার পর সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরে ফেরত আসা পর্যন্ত প্রয়োজনীয় জ্বালানির ব্যয় আবেদনকারীকে বহন করতে হবে বলেও নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া যাতায়াত পথে ফেরি পারাপার বা সেতু ব্যবহারের প্রয়োজনে ফেরি ও সেতুর টোল ইত্যাদি ব্যবহারকারী পরিশোধ করবেন বলেও নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়।