কাজিরবাজার ডেস্ক :
শিক্ষা ব্যয় নির্বাহ এবং অসুস্থতা ও দুর্ঘটনাজনিত চিকিৎসায় কারিগরি ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের বিশেষ অনুদান দেবে সরকার। আর শিক্ষকদের মাঝে দুরারোগ্য ব্যাধি ও দৈব-দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার জন্য এই অনুনদান দেওয়া হবে। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মেরামত ও সংস্কার, আসবাবপত্র তৈরি, খেলাধুলার সরঞ্জাম ক্রয়, পাঠাগার উন্নয়ন ও প্রতিষ্ঠানকে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীবান্ধব করার জন্য বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হবে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবর সরাসরি অথবা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বা সরাসরি আবেদন করতে হবে।
কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব সাবিনা ইয়াসমিনের মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) সই করা এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিটি বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) প্রকাশিত হয়েছে।
অফিস আদেশে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের রাজস্ব বাজেটে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশেষ মঞ্জুরি হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া অর্থ পেতে আবেদন আহ্বান করা হয়েছে।
অফিস আদেশে বলা হয়, সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসা, দৈব দুর্ঘটনা এবং চিকিৎসা খরচের জন্য বিশেষ মঞ্জুরির অনুদান প্রাপ্তির আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী, অসহায়, অসচ্ছল ও মেধাবী, অনগ্রসর সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকার পাবেন।
এবতেদায়িসহ দেশের সব স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এমপিওভুক্ত ও এমপিওবিহীন বেসরকারি কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মেরামত ও সংস্কার, আসবাবপত্র তৈরি, খেলাধুলার সরঞ্জাম ক্রয়, পাঠাগার উন্নয়ন ও প্রতিষ্ঠানকে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীবান্ধব করার জন্য বিশেষ মঞ্জুরির আবেদন করতে পারবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অনগ্রসর এলাকার অসচ্ছল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অগ্রাধিকার পাবে।
এবতেদায়িসহ দেশের সব স্বীকৃতিপ্রাপ্ত, এমপিওভুক্ত ও এমপিওবিহীন বেসরকারি কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা দুরারোগ্য ব্যাধি ও দৈব দুর্ঘটনার জন্য মঞ্জুরি আবেদন করতে পারবেন।
দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাত্রছাত্রীরা দুরারোগ্য ব্যাধি ও দৈব দুর্ঘটনা এবং শিক্ষা ব্যয় নির্বাহে মঞ্জুরির আবেদন করতে পারবে। তবে বিশেষ এ মঞ্জুরির ক্ষেত্রে দুস্থ, প্রতিবন্ধী, অসহায়, রোগ্রস্থ, গরিব, মেধাবী, অনগ্রসর সম্প্রদায়ের ছাত্রছাত্রীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
ছাত্রছাত্রীদের আবেদনের ক্ষেত্রে অবশ্যই স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে।
জেলা যাচাই-বাছাই কমিটির সুপারিশ করা আবেদন এবং সরাসরি পাওয়া আবেদন যাচাই-বাছাই করে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের এ সংক্রান্ত যাচাই-বাছাই কমিটি চূড়ান্ত তালিকা প্রণয়ন করবে।
মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ দেওয়া অর্থ সুষ্ঠুভাবে বিতরণের জন্য সম্প্রতি নীতিমালা করা হয়েছে। কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটে এই নীতিমালা দেওয়া হয়েছে।