নির্দেশ মানছে না রিক্সা চালকরা, বন্দরবাজার-চৌহাট্টা সড়কে চলছে রিক্সা

151

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর বন্দরবাজার-জিন্দাবাজার-চৌহাট্টা সড়কে সিলেট সিটি কপোরেশনের নিষেধাজ্ঞা থাকা স্বত্ত্বেও অবাধে চলছে রিকশা, ভ্যান ও ঠেলাগাড়ি। বছরের শুরু থেকে এ সড়কে এসব যান চলা না করতে সিসিকের পক্ষ থেকে ২ সপ্তাহ পূর্বে মাইকিং, সপ্তাহখানেক আগে নিষেধাজ্ঞার সাইনবোর্ড স্থাপনসহ প্রচার-প্রচারণা আর কঠোর নির্দেশনার পরও অবস্থা যেই-সেই। ফলে ২ দিন থেকে এ রাস্তায় অবলীলায় চলছে এসব গাড়ি।
এদিকে গতকাল শনিবার দুপুরে সিলেট সিটি কর্তৃপক্ষ থেকে একটি অভিযান চালায়। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। খোদ অভিযানের সময়ও এ রাস্তায় রিকশা, ভ্যান ও ঠেলাগাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে শনিবার দুপুরে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সিসিক যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা অবশ্যই বাস্তবায়ন করা হবে। হঠাৎ ঝটিকা অভিযান চালানো হবে।
নগরীর কোর্ট পয়েন্ট থেকে আম্বরখানা-সড়কটি নামে ‘ভিআইপি’ না হলে প্রাণকেন্দ্রে হওয়ায় এটি খুবই জনগুরুত্বপূর্ণ। এ সড়কের জৌলস বাড়াতে বর্ধিতকরণ ও সংস্কারসহ নানা কাজ করছে সিসিক। এ পদক্ষেপে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে সিলেট মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী বলেন, সিসিক পরিকল্পনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পুলিশ যদি সহযোগিতা না করে তাহলে এ সড়ক যানজটমুক্ত করা কঠিন। আশা করি পুলিশ সহযোগিতা করবে।
মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সল মাহমুদ বলেন, সিটি করপোরেশনকে সার্বিক সহযোগিতা করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। সিসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ১ জানুয়ারি থেকে জিন্দাবাজার-চৌহাট্টা এলাকা দিয়ে রিক্সা-ভ্যান চলাচল করতে পারবে না। সিসিক এসব বিষয়ে আমাদের সাথেও পরামর্শ করেছিল। সিসিক চাইলে যে কোনো সময় ট্রাফিক পুলিশ সহযোগিতা করবে।
উল্লেখ্য, সিসিকের এ সিদ্ধান্তে বেঁকে বসেছেন রিকশাচালক ও মালিকরা। সিসিকের এমন সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে গত ২৮ ডিসেম্বর নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ এবং ৩১ ডিসেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন তারা। প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, সিলেট সিটি কর্তৃপক্ষ বন্দরবাজার-জিন্দাবাজার-চৌহাট্টা সড়কে রিক্সা চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। অনতিবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় রিকশা মালিক-শ্রমিক ঐক্যবদ্ধ হয়ে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।