বাবরুল হাসান বাবলু তাহিরপুর থেকে :
বন্যার পানিতে পলি মাটি এসে ঢাকা পড়ছে হাওরে জমি। জমির মাটি নরম। গরু মহিষ কিংবা পাওয়ার ট্রিলারে জমি চাষাবাদ করতে গিয়ে জমিতে ধেবে যাচ্ছে গুরু মহিষের হাল কিংবা পাওয়ার ট্রিলার। তাই বাধ্য হয়ে হালের লাঙ্গল, জোয়াল দিয়ে তিন জন কৃষক মিলে নিজেরাই বোরো জমি তৈরী করছেন কোন রকম। এ চিত্র মাটিয়ান হাওর দক্ষিণ পূর্ব পাশ জামালগড় হাওরে। কৃষকরা জানান, গত বছর একাধিক বার বন্যায় পাহাড়ি নদী যাদুকাটা দিয়ে বৌলাই নদী হয়ে মাত্রাতিরক্তি পলি মাটি পরে জামালগড় হাওরে।
জমির পানি সরে যাওয়ার পর স্থানীয় কৃষকরা জমিতে পাওয়ার ট্রিলার দিয়ে চাষাবাদ করতে গেলে দু’ এক জন কৃষকের জমিতে পাওয়ার টিলার ধেবে যায়। পরবর্তীতে কৃষক জমিতে গরু মহিষ দিয়ে চাষাবাদ শুরু করেন। সে ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। মাটি নরম ও মাটিতে বেশী পরিমান পলি থাকায় গরু মহিষও মাটিতে ধেবে যায়। তাই জামালগড় হাওরের কৃষকরা অনন্যোপায় হয়ে গরু মহিষও পাওয়ার ট্রিলারের কাজ নিজেরাই করছেন।
সম্প্রতি জামালগড় হাওরে গিয়ে দেখা যায় প্রায় জমিতে দু’জন কৃষক লাঙ্গল জোয়াল ধরে টানছেন আর একজন কৃষক লাঙ্গলের ফলা ধরে কোন রকম জমি চাষাবাদ করছেন। সে সময় কথা হয় হাওরের কৃষক জামালগড় গ্রামের সফিক মিয়ার সাথে। তিনি জানান, জমি চাষাবাদের সময় মাটিতে গরু মহিষ ধেবে যাওয়ার কারণে আমরা এভাবেই কোন রকম জমি চাষাবাদ করে রোপণ উপযোগী করছি।
গ্রামের অপর কৃষক সমীর রায় বলেন, হাওরের পানি সরে যাওয়ার পর পাওয়ার ট্রিলার নিয়ে জমি চাষাবাদরে জন্য গেলে পাওয়ার ট্রিলার নরম মাটিতে ধেবে যায়। অনেক কষ্টে ধেবে যাওয়া পাওয়ার ট্রিলার উঠিয়ে নিয়ে আসি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় বোরো ফসলি ছোটখাটো এ হাওরটিতে জমি রয়েছে প্রায় দু’শ হেক্টরের মত। বর্তমানে এ হাওরের সমস্ত জমিতে কৃষক একই ভাবে চাষাবাদ কাজে ব্যস্ত রয়েছেন।
জামালগড় হাওরপার গ্রামের কৃষক ও তাহিরপুর সদর ইউপি সদস্য বিল্লাল আমিন বলেন, জমিতে মাত্রাতিরিক্ত পলি মাটি পরার কারণে হাওরের কৃষকরা অনেক কষ্ট করে জমি চাষাবাদ করছেন।
তাহিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান উদ দৌলা বলেন, পলির কারণে কৃষক জমি চাষাবাদ করতে গিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন বিষয়টি হাওরের একাধিক কৃষক আমাকে অবহিত করেছেন।