তাহিরপুর থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের খালের ওপর ব্রীজ থাকলেও চলাচলের জন্য দুপাশে কোন সড়ক নেই। ব্রীজের সঙ্গে সড়কের সংযোগ না থাকায় এলাকার মানুষ পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বিশম্ভরপুর উপজেলার জামালপুর গ্রামের খালের উপর একটি ব্রীজ দাঁড়িয়ে আছে। ব্রীজের সঙ্গে দুপাশে কোনো সংযোগ সড়ক নেই। তাহিরপুর টু সুনামগঞ্জের মেইন রাস্তার পশ্চিম -দক্ষিণে খালের উপর এ ব্রীজটি নির্মাণ করা হয় ২০১৫ সালে। ব্রীজটির মূল অংশের কাজ শেষ হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন সঠিক পরিকল্পনা না থাকায় ব্রীজটি এখন মরণ ফাঁদে দাঁড়য়েছে ব্রীজটির দুইপাশে ইতোমধ্যে ভাঙ্গন দেখাগেছে।
ব্রীজের এই রাস্তা দিয়ে বড়খলা, শাহপুর, আমড়িয়া, বালিজুড়ি, জামালপুর সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ চলাচল করে থাকে। বর্ষার মৌসুমে এখানকার মানুষের একমাত্র ভরসা নৌকা। বছরের পর বছর এখানকার মানুষকে অপেক্ষা করতে হয়েছে একটি ব্রীজের জন্য। প্রায় ৫ বছর আগে ব্রীজটি নির্মাণ করা হলেও ব্রীজের মূল অংশের কাজ শেষ হওয়ার পর বন্যায় দুই পাশের সংযোগ গাইড অংশের মাটি সরে গেছে। ব্রীজের দুইপাশ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় এলাকার মানুষ এই ব্রীজটি দিয়ে চলাচল করতে পারছেনা। চলাচল করতে না পেরে এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা মো. জামাল হোসেন ও চা ব্যবসায়ী নুরুল হক জানান, আমরা এই কয়েকটি গ্রামের মানুষ খুবই অবহেলিত। আমাদের গ্রামে নেই উন্নত মানের যোগাযোগ ব্যবস্থা। তারা বলেন, ব্রীজটি পাঁচ বছর আগে নির্মান করা হলেও ব্রিজটির মূল অংশের দুই পাশের সংযোগ গাইডলাইনের পাশে মাটি না থাকায় এখানকার মানুষ চলাচল করতে পারছেন না।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাদি উর রহিম জাদিদ জানান, আমি নতুন যোগদান করেছি এ উপজেলায় , ব্রীজটি খোঁজ সমাধানের চেষ্টা করবো।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রকৌশলী মো. মাহবুব আলম জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই, খোঁজ নিয়ে দেখবো।