স্পোর্টস ডেস্ক :
যখন খেলতেন, একাধিক বিতর্কে জড়িয়েছেন। ফুটবল ঈশ্বরের বিদায়বেলাতেও বিতর্ক পিছু ছাড়ল না। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ম্যারাডোনার আকস্মিক প্রয়াণ এক ধরনের আত্মহত্যা ছিল। এমনই বিস্ফোরক দাবি করে বসলেন কিংবদন্তি ফুটবলারের সাবেক ডাক্তার আলফ্রেডো কাহে।
১৯৭৭ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলারের ডাক্তার ছিলেন আলফ্রেডো। এক সাক্ষাৎকারে আলফ্রেডো বলেছেন, ‘দিয়েগোর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু এক ধরনের আত্মহত্যা ছিল। মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পর থেকে দিয়েগো মানসিক অবসাদে ভুগছিল। ও নাকি ঠিক মতো খাওয়া-দাওয়া করত না। ওষুধ খেতে চাইত না। ঘরবন্দি হয়ে থাকত। কারো সঙ্গে দেখা করত না। দিয়েগোর মৃত্যুর কয়েকদিন আগেই ওর সাবেক বান্ধবী ভেরোনিকার সঙ্গে কথা হয়েছিল। শুনলাম দিয়েগো নাকি ভেরোনিকাকে বারবার বলত ও আর বাঁচতে চায় না। আমার কাছে দিয়েগোর মৃত্যু তাই আত্মহত্যাই।’
এখানেই থামেননি আলফ্রেডো। গোটা বিশ্বকে স্তম্ভিত করে তিনি জানালেন ২০০৭ সালে নাকি আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন ফুটবল ঈশ্বর। আলফ্রেডো বললেন, ‘২০০৭ সালে কিউবার রাস্তায় গাড়ি চালাতে গিয়ে ইচ্ছাকৃত চলন্ত বাসে ধাক্কা মেরেছিল দিয়েগো। বড়সড় দুর্ঘটনা হয়নি। পরে দিয়েগোকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তুমি কি আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলে? জবাবে দিয়েগো আমায় বলেছিল, হ্যাঁ আজ পারলাম না, তবে ভবিষ্যতে আবার চেষ্টা করব।’
আলফ্রেডোর বিশ্বাস হচ্ছে না তাঁর প্রিয় দিয়েগো আর নেই। তাই তো ম্যারাডোনার ডাক্তার লিওপোল্ডো লুকের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন আলফ্রেডো। বললেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই দিয়েগোর চিকিৎসায় গাফিলতি ছিল। আমি বুঝতে পারছি না মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পরে কীভাবে দিয়েগোকে বাড়ি ফেরার অনুমতি দেওয়া হলো। ওকে হাসপাতালে রাখা উচিত ছিল। ডাক্তারের পর্যবেক্ষণে থাকলে দিয়েগো ঠিক মানসিক অবসাদ কাটিয়ে উঠত। এর থেকেই প্রমাণ পাওয়া যায় লিওপোল্ডো ডাক্তার হিসাবে ঠিক কতটা অনভিজ্ঞ।’
ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছিল লিওপোল্ডোকে। যাঁর বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ তোলে ম্যারাডোনার পরিবার। আর্জেন্টাইন পুলিশের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, যদি দেখা যায় চিকিৎসার গাফিলতিতেই ফুটবল ঈশ্বরের মৃত্যু হয়েছে তবে বড় শাস্তির মুখে পড়বেন লিওপোল্ডো।