বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ভারত যাওয়ার সময় ৭ রোহিঙ্গা আটক

12

মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় সীমান্ত এলাকা থেকে আটক ৭ রোহিঙ্গাকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের উখিয়ার কুতুপালং থ্যাংখালী (এফডিএমএন) ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে বলে থানা পুলিশ জানিয়েছে।
এর আগে বুধবার সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের কুমারশাইল সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় কুমারশাইল মাদ্রাসার পাশ থেকে স্থানীয় লোকজন তাদের আটক করেন। পরে তাদের লাতু বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) ক্যাম্পে সোপর্দ করা হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় লাতু বিজিবি তাদেরকে থানায় হস্তান্তর করে।
আটক রোহিঙ্গা মুসলমানরা হলেন, মো. শফিকুল (১৯), সমিন আরা (১৮), রুজিনা আক্তার (১৭), শুকতারা বেগম (১৫), ফাতেমা খাতুন (১৭), মল্লিকা বেগম (১৫) ও আছিয়া আক্তার (১৬)।
সূত্র জানায়, আটককৃত রোহিঙ্গারা দালালের মাধ্যমে ভারতে যাওয়ার জন্য কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং থ্যাংখালী (এফডিএমএন) ক্যাম্প থেকে পালিয়ে বড়লেখায় এসেছিলেন।
থানা পুলিশ, বিজিবি ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের কুমারশাইল মাদ্রাসার পাশ থেকে সন্দেহজনক চলাফেরার কারণে ওই ২ তরুণ-তরুণীসহ ৭ কিশোরীকে আটক করেন। আটককৃতরা রোহিঙ্গা মুসলমান নিশ্চিত হওয়ার পর স্থানীয় লোক আটককৃত তাদেরকে লাতু বিজিবির ক্যাম্পে সোপর্দ করেন। বিজিবির প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রোহিঙ্গারা কুমারশাইল সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল বলে স্বীকার করেছে। পরে ওইদিন সন্ধ্যায় বিজিবি তাদেরকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।
উত্তর শাহবাজপুর ইউপির চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন আহমদ বৃহস্পতিবার বিকেলে জানান, তার ইউনিয়নাধীন কুমারশাইল এলাকা থেকে ৭ রোহিঙ্গাকে আটক করেন স্থানীয় লোকজন। পরে তাদের বিজিবির হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। তারা ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করেছে বলে বিজিবির কাছে স্বীকার করেছে। ধারণা হচ্ছে, স্থানীয় কোনো দালাল চক্র তাদেরকে ভারতে পাচার করছিল।
বড়লেখা থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার বলেন, কুমারশাইল এলাকা থেকে আটক রোহিঙ্গাদের বিজিবি থানায় হস্তান্তর করেছে। বিজিবির প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রোহিঙ্গারা কুমারশাইল সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করেছে বলে স্বীকার করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের পুলিশ স্কটের মাধ্যমে চট্টগ্রামের উখিয়ার কুতুপালং থ্যাংখালী (এফডিএমএন) ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে।