গণফোরামের দুই সদস্য শপথ নেবেন না, প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে যাবে না ঐক্যফ্রন্ট

33

কাজিরবাজার ডেস্ক :
একাদশ জাতীয় সংসদে কারচুপির অভিযোগ তুলে কর্মসূচী ঘোষণার পাশাপাশি গণফোরামের নির্বাচিত দুই সংসদ সদস্য শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। সেই সঙ্গে আগামী দুই ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর গণভবনে আমন্ত্রণেও যোগ দেবে না নতুন এই রাজনৈতিক মোর্চা।
বৃহস্পতিবার ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের মতিঝিল চেম্বারে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের কর্মসূচীর বিষয়ে জানান।
ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র বলেন, আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘ভোট ডাকাতির’ প্রতিবাদে কালো ব্যাজ ধারণ এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি গণশুনানির কর্মসূচী দিয়েছে তারা।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে ৩০ ডিসেম্বর যে ভোট ডাকাতির প্রহসনের নির্বাচন হয়েছে এর প্রতিবাদে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কালো ব্যাজ ধারণ করা হবে। ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রার্থী ও ভুক্তভোগীদের অংশগ্রহণে গণশুনানি হবে। এর স্থানটা পরে জানানো হবে। বুধবার একাদশ সংসদের যাত্রা শুরুর দিন প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে ‘নির্দলীয়’ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবি জানায় বিএনপি।
বৃহস্পতিবার মতিঝিলে আইনজীবী কামাল হোসেনের অফিসে এই বৈঠকে মির্জা ফখরুল ছাড়াও জেএসডির আ স ম আবদুর রব, আবদুল মালেক রতন, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, শহিদুল্লাহ কায়সার, জাহেদ-উর রহমান, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, রেজা কিবরিয়া, জগলুল হায়দার আফ্রিক, বিকল্পধারার নুরুল আমিন ব্যাপারী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ইকবাল সিদ্দিকী ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন।
বৃহস্পতিবারের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে কামাল হোসেন বলেন, তার দলের নেতারা সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেবেন না। তবে কয়েক দিন আগে শপথ গ্রহণের আগ্রহ জানানো সুলতান মোঃ মনসুর আহমেদ ও মোকাব্বির খান এই বৈঠকে ছিলেন না।
গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর চা চক্রের আমন্ত্রণে যাচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, এই ব্যাপারে আজকের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, ভোট ডাকাতির নির্বাচনের পরে হাজার হাজার নেতাকর্মী যারা আজকে কারাগারে রয়েছেন, আহত হয়েছেন, নিহত হয়েছেন, প্রার্থীরা অনেকে আহত হয়েছে। সেই অবস্থার প্রেক্ষিতে যে আয়োজন, এই চা চক্রের যে আয়োজন এটাকে আমরা মনে করি একটা পরিহাস মাত্র। সেজন্য এই চা চক্রে যাওয়ার প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি না।