বড়লেখা থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের জুড়ী নদী নামা বাজার জাঙ্গিরাই হয়ে হাকালুকি হাওরে সংযুক্ত হয়েছে। দীর্ঘদিন খনন না করায় নদীটি ভরাট হয়ে যায়। এই নদীটি খননের জন্য মেসার্স শহীদ ব্রাদার্স ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজটি পায়। ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ অর্থবছরে কাজটি করার কথা থাকলেও এসময়ের মধ্যে কাজটি না করতে পারায় সময় সীমা বাড়িয়ে ২০২০-২১ অর্থ বছর সময় নেয়। নদী খননের ফলে রাস্তাঘাট সহ শতাধিক বাড়ীঘর হুমকির মুখে পড়ে। দ্রুত জাঙ্গিরাই এলাকার তুলা মিয়ার বাড়ী হতে সেলিম মিয়ার বাড়ী পর্যন্ত ৭শত ফুট বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবী এলাকাবাসীর।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় জুড়ী নামা বাজার থেকে নয়াগ্রাম পর্যন্ত ৪ কিলো ৭০০ মিটার কাজের জন্য বরাদ্দ হয় ২ কোটি টাকা। নদীটির খনন হওয়ায় একদিক পানি নিষ্কাষনের ব্যবস্থা হয়েছে অন্যদিকে নদীটি খনন করায় শতাধিক পরিবারের জন্য অভিশাপ হয়ে দাড়িয়েছে নদীটি। নদী খননের ফলে জাঙ্গিরাই গ্রামের তুলা মিয়ার বাড়ী হইতে সেলিম মিয়ার বাড়ী পর্যন্ত ৭ শত ফুট রাস্তা গত বন্যায় পাহাড়ী ঢলে লন্ড ভন্ড হয়ে যায়। বর্তমানে শতাধিক বাড়ী ঘর হুমকির মুখে। এখানে যদি দ্রুত বেড়িবাঁধ নির্মাণ না করা হয় তাহলে বাড়ী ঘর নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাবে। ২১ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আখতারুজ্জামান এলাকা পরিদর্শন করেন এবং দ্রুত রাস্তা মেরামতের কাজ করবেন বলে এলাকাবাসীকে আসস্ত করেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন জুড়ী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রিংকু রঞ্জন দাশ, সমাজ সেবক আব্দুল জব্বার, সাংবাদিক ও জনপ্রতিনিধি সহ বিপুল সংখ্যক লোকজন। জনপ্রতিনিধি সহ এলাকাবাসীর দাবী পানি উন্নয়ণ বোর্ড সহ স্থানীয় সংসদ মন্ত্রীর নিকট জোর দাবী দ্রুত সময়ের মধ্যে এখানে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করার।