৭৫ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত ॥ শতভাগ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে আরো এক সপ্তাহ লাগবে

9

স্টাফ রিপোর্টার :
কুমারগাঁও গ্রিড উপকেন্দ্রে অগ্নিকান্ডে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হতে আরো এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। গতকাল শুক্রবার রাত পর্যন্ত মহানগরীসহ অন্তত ৭৫ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়। তবে শতভাগ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে আরো ৭ দিন সময় লাগবে।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৩২ ঘণ্টা পর আশা-নিরাশার দোলাচলে এলো আলোর ঝিলিক। বিদ্যুৎ বিভাগের কারিগরি দলের প্রচেষ্টায় নগরীর আংশিক এলাকা আলোকিত হয়। আর দুর্ভোগ শেষে শুক্রবার সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ পেলো নগরীর আরো কিছু এলাকা। ক্রমশ; বিপর্যয় কাটিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতের চেষ্টায় বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন। শুক্রবার রাত পর্যন্ত মহানগরীসহ অন্তত ৭৫ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়। তবে শতভাগ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে আরো সপ্তাহ দিন সময় লাগবে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন ও বিতরণ বিভাগ সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী খন্দকার মোকাম্মেল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এখন সবগুলো এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহে কাজ চলছে। তবে শতভাগ নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে সপ্তাহদিন সময় লাগবে। তিনি বলেন, আগুনে পুড়ে যাওয়া দু’টি ট্রান্সফরমারের একটি মেরামত করে সরবরাহ চালু রাখা হয়েছে। আর শীত মৌসুমে বিদ্যুৎ ব্যবহারে চাহিদা কমে যায়। যে কারণে উচ্চ ক্ষমতার একটি ট্রান্সফরমার থেকে সরবরাহ চালু রাখা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত অপর ট্রান্সফরমারটিরও কাজ চলছে। এছাড়া ৩৩ কেভি’র নতুন ট্রান্সফরমার স্থাপনে কমপক্ষে ৩ মাস সময় লাগতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে, গ্রিড উপকেন্দ্রে আগুন লাগার ঘটনা খতিয়ে দেখতে গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পৃথক ৩টি তদন্ত কমিটি। এর মধ্যে মন্ত্রণালয়ের ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি, পিজিসিবি’র ৪ সদস্যের ও পিডিবির ৩ সদস্যের কমিটি রয়েছে।
এ বিষয়ে পিডিবি সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী খন্দকার মোকাম্মেল হোসেন আরো বলেন, কি কারণে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে তা এখনো নিশ্চিত নয়।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ১৭ নভেম্বর সকাল সোয়া ১১ টায় বাংলাদেশ পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি (পিজিসিবি) কুমারগাঁও ১৩২/৩৩ কেভি উপ-কেন্দ্রে ২৫ দশমিক ৪১ এমবিএ দু’টি ট্রান্সফরমারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট এক ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও দুটি উচ্চ ক্ষমতার ট্রান্সফরমার, সার্কিট ব্রেকার, কন্ট্রোল প্যানেল পুড়ে পুরো সিলেটের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। পরে দুর্ভোগ পোহাতে হয় নগরবাসীকে। চারিদিকে শুরু হয় পানির জন্য হাহাকার। বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে স্বাস্থ্য সেবাও ব্যাহত হতে চলছিল।