মো. শাহজাহান মিয়া জগন্নাথপুর থেকে :
জগন্নাথপুর-সুনামগঞ্জ নতুন সড়কে ভাঙ্গন ও ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে জনমনে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। ডাবর থেকে রাণীগঞ্জ পর্যন্ত চলছে মেরামত কাজ। এর মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি সেতু। সড়ক মেরামত কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এমএম বিল্ডার্স লিমিটেড। বিগত প্রায় এক বছর ধরে চলছে কাজ। এখনো সড়ক ও সেতুর পুরো কাজ শেষ হয়নি। তবে গত কয়েক মাস আগে প্রায় ৮০ ভাগ সড়কের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে নতুন সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন ও ফাটল দেখা দিয়েছে। প্রথম দিকে মানসম্মত কাজ হলেও বর্তমানে দায়সারা কাজ হচ্ছে। প্রথমে কাজে কঠোর তদারকি থাকলেও এখন ভাটা পড়েছে। এমন অভিযোগ স্থানীয় জনতার।
সড়কের খাশিলা নামক স্থানে নতুন সেতুর বেইসে আঁকাবাঁকা কাজ হচ্ছে। মজিদপুর নামক স্থানে নতুন সড়ক গর্ত হয়ে ধেবে গেছে। ধেবে যাওয়া স্থানে ইটের কংক্রিট ফেলা হয়েছে। একই স্থানে সড়কে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এছাড়া সড়কের আরো বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দেয়। জগন্নাথপুর পৌর শহরের ভেতরে সড়কের কাজ শেষ হলেও ড্রেনের কাজ এখনো শেষ হয়নি। হবিবনগর এলাকায় একটি ঘর রক্ষা করতে ড্রেন ছোট করে সড়কের সাথে দেয়া হয়েছে। যদিও সড়ক থেকে ৩ ফুট দুরে ড্রেন থাকার কথা রয়েছে। একই স্থানে একজন ব্যক্তির সুবিধার্থে সরকারি ড্রেনের উপর দিয়ে ঢালাই রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে।
এসব বিষয়ে স্থানীয় জনতাদের মধ্যে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এক দিকে সড়ক নির্মাণ হচ্ছে, আবার অন্য দিকে ভেঙে যাচ্ছে। এতেই প্রতীয়মান হয় এখানে নিম্নমানের কাজ হচ্ছে। এছাড়া পৌরসভার ভেতরে ড্রেন নির্মাণ নিয়ে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি রয়েছে। যে কারণে একেক স্থানে একেক ধরণের কাজ হয়েছে। তবে আ.লীগের দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে অনেকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায় ও আমাদের পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এর প্রাণপন প্রচেষ্টায় জগন্নাথপুর-সুনামগঞ্জ সড়ক সহ অসংখ্য সেতু নির্মাণ হচ্ছে। কাজে অবহেলা ও ত্র“টি কোন অবস্থায় মেনে নেয়া যাবে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এমএম বিল্ডার্স লিমিটেডর এর প্রধান ম্যানেজার হারুনুর রশীদ বলেন, কাজে কোথাও ত্র“টি থাকলে খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে কাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কাজে ত্র“টি মেনে নেব না। শতভাগ কাজ করতে হবে। যথা সময়ের আগেই দ্রুত কাজ শেষ করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চাপ দেয়া হচ্ছে।