ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতকে নির্বাচনী মতবিনিমিয় সভাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে অন্তত ৪০ ব্যক্তি আহত হয়েছে। আহতদেরকে ছাতক হাসপাতালসহ স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে শহরের বাজনামহল ও বাঁশখলা গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে জনৈক এক কাউন্সিলর পদপ্রার্থীর মতবিনিময় সভায় লোকজন আসতে প্রতিপক্ষের লোকজন বাধা প্রদান করে। এ নিয়ে শুক্রবার রাতে বাজনামহল এলাকায় বাঁশখলা মহল্লার আব্দুর রশীদের পুত্র শাহানুল ইসলাম জনি ও বাজনা মহল মহল্লার মৃত ময়না মিয়ার পুত্র এহিয়া আবেদীন বাবু পক্ষদ্বয়ের মধ্যে হাতা-হাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যস্থতায় শনিবার সকালে শহরের কুমনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সালিশ-বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সালিশ-বৈঠক শেষে আবারো দু’ পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে বাজনামহল ও বাঁশখলা গ্রামবাসীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। প্রায় ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষে উভয় মহল্লার অন্তত ৪০ ব্যক্তি আহত হয়। সংঘর্ষে মোস্তাকুর রহমান (১৯), শাহীন আহমদ (২৯), তাজির আহমদ (৬৭), রিয়াজ আহমদ (২৬), সাদিক আহমদ (২৪), রহিম আলী (২২), করিম মিয়া (২৪), জামিল আহমদ (১৬), সাকিব আহমদ (২৫), তানভির (২২), জয়নাল মিয়া (২৩), নূরুল আমিন (২৩), আবুল হোসেন (২৬), শাহানুল ইসলাম জনি (২০), ওয়াতির আলী (৪৫), রিপন মিয়া (৩০), আব্দুন নূর (৪০), রুমেন (২৫), আব্বাস (৩০), শহীদ হাসান (২২), আব্দুর রহিম (২০), আব্দুল আহাদ মামুন (৩২), নূরুল হক (২৯) জাহেদ আহমদ (২০), জয়নাল আবেদীন (৬০), শরীফ (২৩), রবি (২৪), সামছু মিয়া (২০), ইছহাক মিয়া (২৭), শামীম (৩০), সুজন (২৬), শফিক মিয়া (৫৪)সহ আহতদের ছাতক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এদিকে সংঘর্ষে জড়িত সন্দেহে হাসপাতাল থেকে আহত ২৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ নাজিম উদ্দিন আটকের কথা স্বীকার করে জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।