স্টাফ রিপোর্টার :
যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে গত শুক্রবার সারা দেশের ন্যায় সিলেটেও উদযাপিত হয়েছে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর জন্ম ও মৃত্যুদিবস পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। দিনটি উপলক্ষে জশনে জুলুস র্যালি, মিলাদ মাহফিল, আলোচনা ও কোরআন খতমসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠন, রাজনৈতিক দল, মসজিদ ও মাদরাসা। দিনটি ছিল সরকারি ছুটি এবং দেশের মুসলিমরা বিশেষ এবাদত বন্দেগির মধ্যে দিয়ে এ দিনটি অতিবাহিত করেছেন।
এক হাজার ৪৫০ বছর আগের এই দিনে বা ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়াল মাসে সৌদি আরবের মক্কায় আরবের মরু প্রান্তরে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব ও শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)। মাত্র ৬৩ বছরের একই দিনে তিনি পরলোকগমন করেন। সমগ্র বিশ্বে মুসলমানদের কাছে ১২ রবিউল আউয়াল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। মুসলমান সম্প্রদায় দিনটিকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) হিসেবে পালন করে থাকেন। এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে সারা দেশের ন্যায় সিলেটেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালন করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
জেলা গাউসিয়া কমিটির জুলুসে নেতৃবৃন্দ : পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ১২ রবিউল আউয়াল (৩০ অক্টোবর ) গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ সিলেট জেলার উদ্যোগে শুক্রবার সকাল ১০টায় হযরত শাহজালাল (রহ.) এর দরগাহ প্রাঙ্গণ থেকে জশনে জুলুস বের করা হয়।
মিছিলটি নগরীর প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে জালালাবাদ থানার মইয়ারচরস্থ মাদরাসা-এ-তৈয়বিয়া তাহেরিয়া হেলিমিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে জুলুসোত্তর আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মিলাদ মাহফিল শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করা হয়।