কাজিরবাজার ডেস্ক :
আগের দুই ধাপের চেয়ে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে রবিবার সারাদেশে তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন হলেও নির্বাচন পরবর্তী ব্যাপক সহিংসতা ভোটের উৎসবের আমেজ ম্লান করে দিয়েছে। নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ১৩ জনের মৃত্যু ও ২ শতাধিক আহত হওয়ার ঘটনা এ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এ নিয়ে এখন সারাদেশে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।
পর্যবেক্ষক মহলের মতে, স্থানীয় পর্যায়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই মূলত: ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সহিংসতা বাড়ে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় সরকারী দল থেকে কখনও কখনও অপেক্ষাকৃত কম যোগ্যতাপূর্ণ ব্যক্তিকে প্রার্থী করায় প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের দ্বন্দ্ব এ সহিংসতার মাত্রাকে বাড়িয়ে দেয়। স্থানীয় এলাকাবাসী নিজ নিজ প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নেন। যে কারণে কোথাও কোথাও ভোটযুদ্ধ সংঘাত-সহিংসতায় রূপ নেয়। তবে এবার ভোটের আগে ও ভোটের দিন সহিংসতা কম হলেও ভোটের পর গণনা থেকে শুরু করে ফলাফল ঘোষণার পর বেশি সহিংসতা হয়। আর এ কারণেই নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ১৩ জন মারা যায়।
তৃতীয় ধাপের ১ হাজার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ও ৯ পৌরসভার ভোটে কিছু কেন্দ্রে ভোটপ্রদানে বাধা প্রধান, জাল ভোট ও ব্যালট পেপার ছিনতাইসহ কিছু বিচ্ছিন্ন সহিংস ঘটনা ঘটলেও অধিকাংশ কেন্দ্রেই পরিবেশ ছিল শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর। ভোটার উপস্থিতিও ছিল আশানুরূপ। পুরুষের তুলনায় নারী ভোটারের উপস্থিতি ছিল বেশি।
এদিকে ভোট শেষে তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনকে সহিংসতাহীন মডেল নির্বাচন বলে দাবি করেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। রবিবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন ভবনে মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি। এ সময় তিনি বলেন, কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া এবারের ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ হয়েছে। ভোটাররা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে পেরেছেন। আগের দুই ধাপের নির্বাচনের তুলনায় রবিবার তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণে সহিংসতা কম হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আগের চেয়ে বেশি তৎপর থাকায়।
তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায় আগের ২ ধাপের মতোই বেশিরভাগ ইউপিতে সরকারী দল আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী হলেও প্রায় অনেক ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন ওই দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা। এ ছাড়া বিএনপি দলগতভাবে নির্বাচনে অংশ না নিলেও স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে কোথাও কোথাও নির্বাচিত হয়। এবারের নির্বাচনে ২০টি রাজনৈতিক দল নিজস্ব প্রতীকে ইউপি নির্বাচনে অংশ নেয়।
অভিজ্ঞ মহলের মতে, ইউপি নির্বাচনে সহিংসতা যুগ যুগ ধরেই হয়ে আসছে। স্থানীয় সরকারের একেবারে তৃণমূল পর্যায়ের নির্বাচন হওয়ায় বিভিন্নভাবে প্রভাব বিস্তার করে কর্মী-সমর্থকদের সমর্থন নিয়ে অধিকতর যোগ্য প্রার্থীকে ওভারটেক করে কম যোগ্য প্রার্থীরাও নির্বাচিত হওয়ার চেষ্টা করে। এর ফলে অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়ে ত্যাগী নেতাকর্মীদের সমর্থন সঙ্গে প্রতিপক্ষের ওপর আক্রমণ করে। আবার একই দলের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে যায়। এসব কারণে এ নির্বাচনে সহিংসতা বেড়ে যায়। তবে এবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার কারণে ভোটের আগে ও ভোটের সময় সহিংসতা কম হলেও ভোটের পর সহিংসতা বেড়ে যায়। আর রাতে সহিংসতার কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেভাবে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি।
এদিকে সরকারী দল আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি কেন্দ্রীয়ভাবে ইউপি নির্বাচন বর্জন করলেও তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অনেক জায়গায় চেয়ারম্যান ও সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছেন। বেশ ক’টি ইউপিতে তারা বিজয়ীও হয়েছেন। আর অধিকাংশ ইউপিতে নিজেদের অবস্থান দুর্বল হওয়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের সমর্থন করেছেন। তাই কোন কোন ইউপিতে কৌশলে সরকারী দলের প্রার্থীদের পক্ষে তারা সহিংসতায় অংশ নিয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়।
কিছু বিশৃঙ্খল ঘটনা ছাড়া সারাদেশে তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে শেষ হলেও নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ১৩ জন নিহত হয়। আহত হয় দুই শতাধিক মানুষ। যা শান্তিপূর্ণ ভোট উৎসবকে ম্লান করে দেয়। তাই এ নির্বাচন নিয়ে এখন দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নে রবিবার রাতে ভোট গণনার সময়ে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী সমর্থকদের সংঘর্ষে বিজিবির নায়েক সুবেদার রুবেল মন্ডল (৩৮) নিহত হয়েছেন।
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলের বাংলাবাজারে পৃথক সহিংসতার ঘটনায় শাকিল মোল্লা (৩০) ও রিয়াজুল শেখ (৬০) নিহত হন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন। নরসিংদীতে পৃথক ঘটনায় ২ জন নিহত হয়েছেন। রায়পুরার চান্দেরকান্দিতে ভোট গণনা শেষে সংঘর্ষে আরিফ (২৮) নামের এক অটোরিক্সাচালক নিহত হন। উত্তর বাখরনগর ইউনিয়নে পৃথক সংঘর্ষে আহত ফরিদ মিয়া (৩২) নামের আরেকজন ঢাকায় নেয়ার পথে মারা যান।
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার খনগাঁও ইউনিয়নের ঘিডোব সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটগণনার পরে কারচুপির অভিযোগ ও ফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে ৩ জন নিহত হয় বলে এলাকাবাসী জানায়।
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ইউপি নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র এলাকায় সহিংসতায় আহত হন ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাদ হোসেন সজিব। সন্ধ্যার দিকে ঢাকায় নেয়ার পথে চাঁদপুরে এ্যাম্বুল্যান্সে তিনি মারা যান। এ ছাড়া ভোট শুরুর আগের রাতে খুলনার তেরখাদা উপজেলার মধুপুরে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থক বাবুল শিকদার গুরুতর আহত হন। ভোটের দিন সকালে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
এ ছাড়াও তৃতীয় ধাপের ভোট পরবর্তী সহিংসতায় সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় রবিবার ভোট শেষে সহিংসতায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ জন মারা যান। আর নেত্রকোনায় সোমবার মারা যান একজন পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী। আর রবিবার রাতে কক্সবাজারের চকরিয়ায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ১ জন মারা যান।
ইউপি নির্বাচনের প্রথম ধাপ থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত সারাদেশে প্রায় ১০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এর মধ্যে প্রথম ধাপের নির্বাচনের আগেপরে মিলিয়ে মারা গেছে ৫ জন। দ্বিতীয় ধাপের ভোটের আগে পরে মারা গেছে ৩০ জন। এর মধ্যে ভোটের দিনই মারা গেছেন ৭ জন মানুষ। আর তৃতীয়ধাপের নির্বাচনে মারা গেছে ১৯ জন। এর মধ্যে নির্বাচনের দিন ভোট পরবর্তী সহিংসতায় মারা গেছে ১০ জন।
এদিকে ইউপি নির্বাচনে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় তৃণমূল পর্যায়ের আওয়ামী লীগের নেতারাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তারা মনে করেন বর্তমান সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রমের কারণে দেশ-বিদেশে যে সুনাম হয়েছিল। ইউপি নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতার কারণে সরকারের অর্জন ম্লান হওয়ার পথে।
তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে সহিংসতা বাড়াতে ৩৮১ জন বিচারিক হাকিম মাঠে নামানো হয়। বিচারিক হাকিমগণ ৩০ নবেম্বর পর্যন্ত মাঠে নিয়োজিত থাকবেন। তারা নির্বাচনী অপরাধসহ বিভিন্ন অপরাধ আমলে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সংক্ষিপ্ত বিচারকাজ করছেন। এ নির্বাচনের আগেই চেয়ারম্যান পদে ১০০ জন, সংরক্ষিত সদস্য ১৩২ জন এবং সাধারণ সদস্য ৩৩৭ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
এর আগে ২১ জুন ও ২০ সেপ্টেম্বর দুই দফায় প্রথম ধাপের ৩৬৯টি ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১১ নবেম্বর দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হয়েছে ৮৩৩টি ইউপি নির্বাচন। আর তৃতীয় ধাপে রবিবার ১ হাজার ইউপিতে ভোট হয়। এছাড়া চতুর্থ ধাপে ৮৪০টি ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৬ ডিসেম্বর। আর ৫ম ধাপে ৭০৭ ইউপিতে ভোট হবে ৫ জানুয়ারি।
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে ৩ জন নিহত : নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার খনগাঁও ইউনিয়নের ঘিডোব সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটগণনার পরে কারচুপির অভিযোগ ও ফলাফলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে ৩ জন নিহত ও ৪ জন আহত হয়েছেন। রবিবার রাতে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতরা হলেন, ঘিডোবপুর গ্রামের সাহাবলি আহম্মেদ (৩৫), মোজাহারুল ইসলাম (৪০) ও আদিত্য (২০)। তাদের মধ্যে ঘটনাস্থলেই দুইজন এবং রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে একজন মারা যান।
উল্লাপাড়ায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু : সলঙ্গায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংস ঘটনায় আহত এসএসসি পরীক্ষার্থীর দেলোয়ার হোসেন সাগর (১৬) সোমবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
নেত্রকোনা : নির্বাচনের পরদিন এক পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তার নাম হাবিবুর রহমান (৩৮)। জেলার দুর্গাপুর উপজেলার বাকলজোড়া ইউনিয়নের গাবাউতা গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে তিনি।
নীলফামারী : নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলায় ইউপি নির্বাচনে গাড়াগ্রাম ইউনিয়নে নির্বাচনী সংহিসতায় নিহত হন বিজিবি সদস্য রুবেল মন্ডল (৩৮)। রবিবার রাত সাড়ে ৯টায় দিকে এই ঘটনায় সরকারীভাবে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে তদন্ত টিমের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তদন্ত টিমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম সচিব মোঃ মিজানুর রহমানকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। তদন্ত টিমের অন্যান্য সদস্যরা হলেন রংপুর বিজিবি রিজিওনাল কমান্ডার কর্নেল মাহবুবুর রহমান খান, রংপুর রেঞ্জের পুলিশ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক মোঃ ওয়ালিদ হোসেন ও নীলফামারীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মির্জা মুরাদ বেগ। এ ব্যাপারে সোমবার বিকেলে কিশোরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল আউয়াল সাংবাদিকদের জানান, ওই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এদিকে নিহত নীলফামারী ৫৬ বিজিবির নায়েক সুবেদার রুবেল ম-ল (৩৮) এর মরদেহ জেলার মর্গে ময়না তদন্ত করা হয় সোমবার দুপুর ১২টার দিকে। নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের তিন সদস্যের একটি চিকিৎসকের টিম ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন।
এদিকে এই ঘটনার পর গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের পশ্চিম দলিরামপুর ও মাঝাপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায় সেখানকার হাটবাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সব কিছু বন্ধ। বাসাবাড়িতে কোন মানুষজন নেই। হাতে গোনা কয়েকটি বাড়িতে বয়স্ক নারীদের দেখা গেলেও তারা কিছু বলতে রাজি হয়নি।
কক্সবাজার : নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় চকরিয়ার বদরখালীতে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত চেয়ারম্যান নুর হোছাইন আরিফের ভাগ্নেকে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের সমর্থকরা। রবিবার রাত সাড়ে ১১টায় হেফজখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সোমবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া থানার ওসি ওসমান গণী। নিহত গিয়াসউদ্দিন মিন্টু (৪৫) ঢেমুশিয়া পাড়ার মাস্টার আবুল মুসার পুত্র।
লালমনিরহাট : জেলা সদর ও কালীগঞ্জ উপজেলায় ২৪ ঘণ্টায় নির্বাচনী সহিংসতায় কমপক্ষে ৫০ জন বুলেটবিদ্ধ হয়েছে। এই সময় জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে শতাধিক রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়েছে। উত্তেজিত জনতা পুলিশের ওপর হামলা করে ব্যাপক ভাংচুর করেছে। নির্বাচনী সহিংসতায় প্রতিপক্ষের বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করে। বেশকিছু মোটরসাইকেল ও যানবাহন ভাংচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।