উন্নয়নসংস্থা এফআইভিডিবি-র প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক যেহীন আহমদ, যার নেতৃত্বে এফআইভিডিবি বিগত চার দশক ধরে দেশজোড়া প্রান্তিক জনমানুষের সাক্ষরতা ও সার্বিক জীবনমান উন্নয়নের ক্ষেত্রে কাজের মাধ্যমে দেশে এবং দেশের বাইরে সুনাম অর্জন করেছে, তাঁর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ ২৮ অক্টোবর ২০২০ বুধবার। গত চারদশকের বাংলাদেশ পর্বে সামাজিক অগ্রসরণে যারা নিরলস কাজ করে গেছেন তাদের একজন সিলেটের কৃতি ব্যক্তি যেহীন আহমদ। স্বনামখ্যাত উন্নয়নসংস্থা এফআইভিডিবি-র জন্মলগ্ন থেকে নির্বাহী পরিচালক হিসেবে এই প্রতিষ্ঠানের আদর্শিক ভিত্তি নির্মাণ ও পরিচালনা কাঠামো প্রণয়নে যেহীন আহমদ তার মেধা, মনন ও সৃজনকুশলতার উৎকৃষ্ট নজির রেখে গেছেন।
কর্মজীবনে এফআইভিডিবি-র নেতৃত্ব দেয়া ছাড়াও অসংখ্য স্বেচ্ছাব্রতী সামাজিক সংগঠন নির্মাণে যেহীন আহমদ ভূমিকা রেখে গেছেন। সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনে একলা নয়, সংগঠিতভাবে অগ্রসর হতে হয় : এই প্রত্যয়ে আস্থাশীল যেহীন আহমদ আজীবন প্রত্যন্ত জনপদের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য তার সমস্ত কাজের পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিসার্চ (আইডিআর)-এর সিনিয়র ফেলো যেহীন আহমদ দেশবিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উন্মেষকালীন আজীবন সদস্য হিসেবে ব্যাপৃত ছিলেন, এর মধ্যে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি), ক্যাম্পেইন ফর পপুলার এডুকেশন, এএলআরডি, আরডিআরএস প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। দীর্ঘ কর্মজীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে তিনি পেয়েছেন দেশবিদেশের অনেক স্বীকৃতি ও সম্মাননা। আইসিএই কানাডা তাকে ১৯৯৫ সালের জে. রবি কিড অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেছিল অ-প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের নকশা প্রণয়নে উদ্ভাবনী অবদানের জন্য।
সক্রিয় শিখন পদ্ধতিতে প্রাথমিক শিক্ষায় একটি বিশেষ শিক্ষণ প্রক্রিয়া প্রবর্তনায় তিনি অবদান রেখেছেন। নব্বইয়ের দশকে ফ্রেইরিয়ান তত্ত্ব সহজিকরণে দেশব্যাপী তিনি বিশেষ অবদান রেখেছেন। বয়স্ক ও ব্যবহারিক সাক্ষরতার কর্মসূচি ও উপকরণ উন্নয়নে যেহীন আহমদের উদ্ভাবনী চিন্তা এদেশের সাক্ষরতার হার ও মান উন্নীতকরণে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। সাহিত্য ও সংগীতের রসজ্ঞ হিসেবে তিনি ছিলেন পরিচিত ও আপনজনদের মহলে ব্যাপকভাবে গ্রাহ্য একজন ব্যক্তি। নির্মোহ চরিত্রের নির্লোভ এই সন্তপ্রায় ব্যক্তিটি চিরদিন বঞ্চিত মানুষের সঙ্গে মাটিবর্তী থেকে কাজ করে গেছেন। বিজ্ঞপ্তি