স্টাফ রিপোর্টার :
৫ দিনের দুর্গোৎসবের দ্বিতীয় দিনে আজ শুক্রবার মহাসপ্তমী। সকালে ত্রিনয়নী দেবীদুর্গার চক্ষুদান করা হবে। এরপর সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটের মধ্যে দেবীর নবপত্রিকা প্রবেশ, স্থাপন, সপ্তমাদি কল্পরাম্ভ ও সপ্তমীবিহীত পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এভাবে উৎসব চলবে আগামী সোমবার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জন পর্যন্ত।
গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম দিনে ষষ্ঠীতিথিতে মন্ডপে মন্ডপে দেবীর অধিষ্ঠান হয়। সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটের মধ্যে ছিল ষষ্ঠ্যাদি কল্পারম্ভ ও ষষ্ঠীবিহিত পূজা। এ সময় বেলতলা কিংবা বেলগাছের নিচে দেয়া হয় ষষ্ঠীপূজা। সন্ধ্যায় দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাস ছাড়াও সব মন্ডপে পুষ্পাঞ্জলি ও ভোগআরতির আয়োজন করা হয়। তবে ঘটা করে প্রসাদ বিতরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর আগেই বৈশি^ক মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে সারাদেশে উৎসব ছাড়াই এবারের দুর্গাপূজা আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়। এই সিদ্ধান্তের আলোকে আলোকসজ্জা ও সাজসজ্জাসহ উৎসব সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো পরিহার করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবারের পূজাকে সাত্ত্বিক পূজায় সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। তাই এবারের দুর্গোৎসবকে কেবল দুর্গাপূজা হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজার ধর্মীয় আচার-আচরণ পালনের পাশাপাশি সন্ধ্যা আরতির পর সব পূজামন্ডপ ও মন্দির বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ছিল আগে থেকেই।
জানা গেছে, এ বছর সিলেটে ৫৮৪টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরমধ্যে সিলেট জেলায় পারিবারিক ও সার্বজনীন মিলিয়ে ৫২০ টি এবং সিলেট মহানগরে ৬৪টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছর সিলেট জেলা ও মহানগর মিলিয়ে ৬০৮টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ হিসেবে এবার পূজা মন্ডপের সংখ্যা কমেছে ২৪টি। শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২০ নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে উদযাপনের জন্য স্বল্প জনসমাগম এবং করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি এড়াতে এসএমপি পুলিশ ২০ নির্দেশনা জারি করে।