স্পোর্টস ডেস্ক :
ফাঁকা মাঠেও ম্যাচ শেষে গোলবারের একপাশে গিয়ে লাফিয়ে উঠলেন মিলান ফুটবলাররা। মাঠে ছিল হাজার খানেক সমর্থক উপস্থিত ছিল, তবে তাদের বেশিরভাগই ইন্টার সমর্থক। কিন্তু সান সিরোতে এমন রাতে ভরা গ্যালারির কথা মনে না পড়ে পারে না, সেই অভাবটা মিলান টের পেল পূর্নাঙ্গ উদযাপন করতে না পেরে। এমন রাত সাম্প্রতিক সময়ে কমই দেখেছে মিলান। ২০১৬ সালে সবশেষ মিলান ডার্বি জিতেছিল রোসোনেরিরা। এরপর থেকে লিগে একবারও ইন্টার মিলানকে হারাতে পারেনি তারা। ৪ বছরের অপেক্ষা পর এমন জয় তো দারুণ কিছুই!
করোনা জয় করে মাঠে ফেরা ইব্রাহিমোভিচের জোড়া গোলে, ইন্টারকে ২-১ গোলে হারিয়েছে এসি মিলান। মিলানের রাজত্ব দীর্ঘদিন ধরেই ইন্টারের দখলে। তবে ইব্রা ক্লাবে আসার পর থেকে ভিন্ন এক এসি মিলানকে দেখছে সবাই। ২৩ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড সাথে নিয়ে নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের মুখোমুখি স্টেফানো পিওলির দল।
করোনা জয় করে জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ ফেরায় উজ্জীবিত রসোনেরিরা। শুরুতেই পেনাল্টি পেয়ে যায় এসি মিলান। ইব্রার শট প্রথম দফায় গোলরক্ষক রুখে দিলেও, ফিরতি শটে বল জালে পাঠান সুইডিশ তারকা। ইব্রার জন্য ফুটবল মাঠে বয়স শুধুই একটা সংখ্যা মাত্র। তিন মিনিট পর আবারো গোল করে যেন তাই প্রমাণ করেন ৩৯ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার।
ম্যাচের শুরুতেই দুই গোলে পিছিয়ে পড়া ইন্টার, ব্যবধান কমাতে বেশি সময় নেয়নি। জাতীয় দলের হয়ে দুর্দান্ত সময় পার করা রোমেলু লুকাকু ২৯ মিনিটে নেরাজ্জুরিদের হয়ে গোল করেন। প্রথমার্ধ্বেই সমতা আনতে পারতো নেরাজ্জুরিরা। তবে এ দফায় লুকাকুর হেড লক্ষ্য ভ্রষ্ট হয়।
দ্বিতীয়ার্ধ্বের এসি মিলান কোনো সুযোগ তৈরি করতে না পারলেও সমতা আনার আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছে অ্যান্তনিও কন্তের দল। তবে লুকাকু-হাকিমিদের কোনো চেষ্টাই সফলতার মুখ দেখেনি। ফলে নতুন মৌসুমে টানা চতুর্থ ম্যাচে জয় নিশ্চিত হয় এসি মিলানের। ১২ পয়েন্ট নিয়ে ইব্রার দল আছে টেবিলের শীর্ষে।