স্টাফ রিপোর্টার :
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী এমপি বলেছেন, যেকোনো দুর্ঘটনা রোধে বিমানবন্দরে কর্মরত সবাইকে সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে। নিরাপত্তায় বিঘ্ন সৃষ্টির চেষ্টাকারীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। একই সাথে বিমানবন্দর ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কোনো ধরনের আপস করাও চলবে না। গতকাল মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ‘ফুল স্কেল এয়ারপোর্ট ইমারজেন্সি এক্সারসাইজ- ২০২০’ ও আন্তর্জাতিক লাউঞ্জের সম্প্রসারিত অংশের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বিমানবন্দরে যাত্রীসেবার মান উন্নয়ন ও যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। দেশের সব বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও এরই মধ্যে ফায়ার অ্যালার্ম সিস্টেম, ডুয়েল ভিউ স্ক্যানিং মেশিন, আন্ডার ভেহিকেলস স্ক্যানিং সিস্টেমসহ সব আধুনিক নিরাপত্তা সরঞ্জাম স্থাপন করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও তত্ত্বাবধানে দেশের সব আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরে বড় ধরনের উন্নয়নকাজ চলমান। সিলেটবাসীর সুবিধার কথা ভেবে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেরও সম্প্রসারণের কাজে হাত দেয়া হয়েছে। এতে ২ হাজার ৭৬০ কোটি টাকা ব্যয় হবে।
তিনি জানান, সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় ২ হাজার ৩০৯ কোটি টাকা ব্যয়ে এখানে নতুন আধুনিক টার্মিনাল ভবন,কার্গো ভবন, কন্ট্রোল টাওয়ার, প্রশাসনিক ভবন, মেনটেইন্যান্স ভবন, অ্যাপ্রোন, ট্যাক্সিওয়ে ও ইউটিলিটি স্টেশন নির্মাণ করা হবে। এসব নির্মাণের পর ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হবে একটি পূর্ণাঙ্গ আধুনিক বিমানবন্দর। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান, সদস্য (পরিচালনা ও পরিকল্পনা) এয়ার কমোডর খালিদ হোসেন, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমেদ ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে বিমানযোগে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। বেলা ১টায় বহির্গমন লাউঞ্জের উদ্বোধনীতে যোগদান শেষে বেলা ২টা ৫০ মিনিটে তিনি বিমানযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে সিলেট ত্যাগ করেন।