স্টাফ রিপোর্টার :
গ্রামের শান্তিপ্রিয় নিরীহ লোকজনকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ করেছেন সদর উপজেলার ২নং হাটখোলা ইউনিয়নের বড়ফৌদ গ্রামের বাসিন্দারা। মঙ্গলবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে গ্রামবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কুতুব উদ্দিন।
তিনি বলেন, আমাদের গ্রামের এক উশৃঙ্খল ছেলে ও তার ভাই গ্রামের শান্তিপ্রিয় নিরীহ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাদের গ্রামকে এবং গ্রামের সম্মানিত মানুষকে নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। বড়ফৌদ গ্রামের ফয়জুল হকের ছেলে নজির আহমদ মোজাহিদ গত ২৪ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে আমাদের গ্রামের সম্মানিত মুরব্বীয়ানদেরকে নিয়ে যে মিথ্যাচার করেছেন।
তিনি বলেন, বড়ফৌদ গ্রামের মৃত রেহমান মিয়ার ছেলে সোবহান মিয়া আত্মীয় স্বজনের নিকট থেকে টাকা পয়সা কর্জ করে এনে ছোটখাট গরুর ব্যবসা করেন। দীঘিরপারের জনৈক আতা মিয়া গরুর সীট করার পর গরুটি তার বাড়িতে পৌছে দিয়ে টাকা নিয়ে আসতে বলেন সোবহানকে। পরে আতা মিয়া গরু আটকিয়ে টাকা না দিয়ে সুবহানকে তার বাড়ি থেকে চলে যেতে বলেন। আতা মিয়া তখন জানান, নজির আহমদ মোজাহিদের কাছে আমি টাকা পাই। তার কাছ থেকে নিয়ে নিও। এ ঘটনা এলাকার মুরব্বিদের জানান সোবহান মিয়া। এ বিষয়টি নিয়ে দুই দফা মোজাহিদ মিয়ার সঙ্গে এলাকার মুরব্বিরা কথা বলতে গেলে উল্টাপাল্টা কথাবার্তা বলে কারো কথা না শুনেই বাড়িতে চলে যায়। এ ঘটনাকে ভিন্নখাতে নিতে এবং গরীব অসহায় সোবহান মিয়ার টাকা আত্মসাত করতে মিথ্যা কল্পকাহিনী সাজাচ্ছে। সে নিজেকে মাত্র একদিন আড়ালে রেখে অপহরনের নাটক সাজিয়ে গ্রামবাসীর উপর মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে।
তিনি বলেন, মোজাহিদের ভাই বশির আহমদ বাদী হয়ে জালালাবাদ থানায় সোবহান মিয়াসহ গ্রামের শান্তিপ্রিয় লোকজনকে আসামী করে অপহরণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে। মামলায় আসামী করা হয়েছে সোবহান মিয়ার ছেলে মহিবুর রহমান ও আনিছুর রহমান, সোবহান মিয়া, গ্রামের মুরব্বী রফিকুল ইসলাম, সোবহান সিয়ার ভাই আব্দুল খালিক, গ্রামের মুরব্বী আব্দুর রহিম বাবু এবং সিরাজুল ইসলামকে। পুলিশ কোন রকম তদন্ত ছাড়াই মামলাটি এজাহারভুক্ত করেছে।
মামলার এজহারে দেওয়া সকল তথ্য মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, এ মিথ্যা মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গেলে এজাহার নামীয় মুহিবুর রহমানসহ সাতজন আসামির জামিন নামঞ্জুর করে আদালত তাদের জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন। বর্তমানে তারা জেল হাজতে রয়েছেন। এমনকি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন আজ আসামীদের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছেন। যা সম্পূর্ণ অমানবিক।
এসময় তিনি ‘মিথ্যা মামলা’টি তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা খোঁজে বের করতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান। অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতিও জানান তারা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আছকর আলী, মো. আব্দুল লতিফ, মকলিছ, আনজফ আলী, ফরিদ, আব্দুল ওয়াদুদ, নজরুল ইসলাম, সুলেমান, দিলোয়ার হোসেন, আব্দুল করিম, জমির, মো. তাজ উদ্দিন, ইয়াছিন আরাফাত চৌধুরী, ময়নুল ইসলাম, মো. আবজাল হোসাইন, রাজু আহমদ প্রমুখ।