সিলেটে অব্যাহত টানা বৃষ্টির প্রেক্ষিতে আবার প্রচন্ড বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে রোপা আমনের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির আশংকায় কৃষকরা হতাশায় জীবন যাপন করছেন।
সিলেটে অনাকাক্সিক্ষত বন্যার ফলে সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, সুনামগঞ্জের তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার সহ সমস্থ নিম্নাঞ্চলের রোপা আমনসহ রবি-শষ্যের ক্ষতি সাধন করেছে। কোন-কোন স্থানের রবি-শষ্যের চারা ভূমি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। যথা সময়ে বন্যার পানি নেমে না গেলে রোপা আমনের যেমন ক্ষতি হবে, তেমনি রবি-শষ্যের চরম ক্ষতি সাধন হবে বলে কৃষকরা মনে করেন।
চলতি সপ্তাহ ব্যাপি অব্যাহত টানা বৃষ্টি পাতের ফলে সীমান্তিক মেঘালয় ও আসামে প্রচন্ড ভারী বর্ষণের কারণে কাছাড়ের বরাক নদীতে পাহাড়ী ঢলের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় কুশিয়ারা-সুরমা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যার পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করার উপক্রম দেখা দিয়েছে।
এদিকে মেঘালয়ের পাহাড়ী ঢলের পানি দোয়ারাবাজার সহ নিম্নাঞ্চল দিয়ে সুনামগঞ্জের বিশাল এলাকা প্লাবিত করছে। পাহাড়ী ঢলের পানি প্রবেশ করায় হাওরাঞ্চলের ব্যাপক ক্ষতির আশংকা রয়েছে। হাওর অঞ্চলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে গ্রামাঞ্চলে প্রবেশ করায় গ্রামাঞ্চলের জন-জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে।
কুশিয়ারা-সুরমা নদীর উৎস বরাক নদীতে অব্যাহত ঢলের পানি বৃদ্ধি থাকায়, কুশিয়ারা-সুরমা নদীর তীরবর্তী জনসাধারণ বন্যার আশংকায় ভুগছেন। কুশিয়ারা-সুরমা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলো মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় নদী দ্বয়ের তীরে বসবাসকারী কৃষকরা রোপা আমনসহ রবি-শষ্যে হারানোর ভয়ে আতংকিত হয়ে পড়ছেন।
কুশিয়ারা-সুরমা নদীর তীরবর্তী মানুষের প্রত্যাশা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষায় সংশ্লিষ্ট বিভাগ এগিয়ে আসবেন।