তোফাজ্জল হোসেন নবীগঞ্জ থেকে :
নবীগঞ্জ উপজেলার জাইকা প্রকল্পের এরাবরাক নদী পানি নিষ্কাশন সমবায় সমিতি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে। প্রশাসনের কাছে এলাকাবাসী কয়েক শত জনতা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সমবায় অফিস ও প্রকোশলী অফিসের রহস্যময় লুকোচুরি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে এলাকায়। অবশেষে হতাশাগ্রস্ত এলাকাবাসী স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নে এরা বরাক নদী শাসন এলাকায় জাপানিজ প্রকল্প সংস্থা জাইকা কাজ করার জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান হারুনকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। নদীর তীরবর্তী এলাকার গ্রামের বাসিন্দাদের নিয়ে একটি সমিতি গঠনের জন্য। কিন্তু চেয়ারম্যান কাউকে না জানিয়ে নিজের আত্মীয় স্বজন ও আপন বড় ভাই হাজী আতাউর রহমানকে সভাপতি করে একটি কমিটি গঠন করেন। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে জনসাধারণের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া ও উত্তেজনা দেখা দেয়। নদীর পারের বাসিন্দা দক্ষিণ দৌলতপুর, আমুকোনা, উমরপুর, বেতাপুর, উত্তর দৌলতপুর, সিট ফরিদপুর, মিঠাপুর, আউশকান্দি, আলমপুর, আজলপুর নোয়াহাটি, ফরিদপুর, কেশবচর, মিনাজপুর আংশিক, জালালপুর গ্রামের লোকজন হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক, নির্বাহী প্রকৌশলী এলজিইডি হবিগঞ্জ ও সমবায় অফিসে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে বলা হয় ঐ কমিটি দিয়ে জাইকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলে চরম অনিয়ম হওয়ার আশংকা রয়েছে। কমিটিতে জামায়াত বিএনপির নেতাদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকার জনসাধারণের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে জাইকা প্রকল্পের হবিগঞ্জ অফিসের প্রধান নাজমুল ইসলাম বলেন, আমরা কিছু করার নেই। বিষয়টি এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী অফিস নিয়ন্ত্রণ করে। তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন। হবিগঞ্জ এলজিইডির সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মাজহার ইবনে মোবারক বলেন-আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে বিষয়টি আমরা দেখবো। এখনো অর্থ আসে নাই। তবে সমিতির বিষয়টি দেখবে সমবায় অফিস। যেহেতু অভিযোগ উঠেছে তা খতিয়ে দেখা হবে। নবীগঞ্জ উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা হাফিজুল ইসলাম জানান, আমরা সমিতি গঠনের বিষয়ে কিছু জানিনা। চেয়ারম্যান সাহেব দাওয়াত করেছিলেন তাই আমরা গিয়েছিলাম। এখনোও সমিতির অনুমোদন হয়নি। এটা এলজিইডি প্রকৌশলী অফিস বিষয়টি দেখবেন। তারা সমিতির নামে অর্থ ছাড় দেবেন। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান হারুন বলেন, এব্যাপারে আমার কোন বক্তব্য নেই।