বড়লেখা থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় হাফিজ কামরুল ইসলামের প্রেম বিয়ে, অতঃপর যৌতুক চাওয়া নির্যাতন বৌ তালাক দিয়ে আবার পুনরায় ঘরে তুলে নেওয়া। অন্য মেয়েকে বিয়ে করার ঘটনায় বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজেষ্ট্রেট আদালতে মামলা যার নং ১৫০/২০২০ এ নিয়ে হাফিজ কামরুলের কর্মকান্ডে উপজেলা জুড়ে তোলপাড় চলছে।
মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বড়লেকা উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের নিরিহ ফখরুল ইসলামের মেয়ে সুখী বেগমকে একি গ্রামের ইকবাল হোসেন দুদু মিয়ার ছেলে হাফিজ মো: কামরুল ইসলাম মেয়েটির সাথে মন দেওয়া-নেওয়া অতঃপর ২৭ মে ২০১৬ তারিখে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক ৩ লক্ষ একশত এক টাকা দেনমোহরে বিবাহ করেন। এরপর থেকে তার স্বামী কামরুল ইসলাম নানা জ্বালাতন নির্যাতন যৌতুক চাওয়া সহ নানা কর্মকান্ড চালিয়ে যান। বিয়ের এক বছর পর তার স্ত্রী সুখি বেগমকে ছেড়ে দেন। পুনরায় স্ত্রী হিসেবে ঘরে তুলে নেন তাদের হাফিজা ইসলাম নামের ১০ মাসের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। উপজেলার দাসেরবাজার ইউনিয়নের লগাটি জামে মসজিদে ইমামতি দায়িত্ব পান তার এমন কর্মকান্ডে ইমামতি থেকে এলাকাবাসি অব্যাহতি দেন। সেখানে গিয়েও একই গ্রামের একটি মেয়েকে কিছুদিন পূর্বে বিয়ে করেন। এদিকে ১ম স্ত্রী ও বাচ্চার কোন খোঁজ খবর না রেখে তাদের দাবি দাওয়া পূরণ না করে ২য় বিয়ে করেন। বিয়ের পর ১ম স্ত্রীর অসহায় পিতা ফখরুলকে নানা ভয় ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে। হাফিজ কামরুল ইসরামের এমন কর্মকান্ডে এলাকার মানুষ হতভাগ। তারা তার শাস্তি দাবি করছে। এ ব্যাপরে হাফিজ মাও. কামরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, মামলা হয়েছে আইনে যা হয় তাই হবে। তার এই কর্মকান্ডে এলাকার নানা প্রশ্ন তোলপাড় চলছে।