জগন্নাথপুরে নাগারখাল জলমহাল নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ তুঙ্গে, প্রশাসনের কঠোর অবস্থান

7
জগন্নাথপুরে বিরোধীয় নাগারখাল।

মো. শাহজাহান মিয়া জগন্নাথপুর থেকে :
জগন্নাথপুরে সুপারখাল-নাগারখাল জলমহাল নিয়ে শুরু হয়েছে টালবাহানা। এতে সাধারণ মানুষ ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা বিরাজ করছে। যদিও এ জলমহাল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ তুঙ্গে রয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে থানা পুলিশ কঠোর অবস্থান নিয়েছে। তবে উপজেলা প্রশাসন জলমহালটি কোন পক্ষকে ইজারা না দিয়ে নিজস্ব প্রতিনিধি নিয়োগ করেছেন।
জানা গেছে, উপজেলার মজিদপুর ও নাদামপুর গ্রামের ভেতর দিয়ে নলুয়ার হাওরে বয়ে গেছে সুপারখাল-নাগারখাল নামে একটি ছোট জলমহাল। খালের দুই পারে রয়েছে অসংখ্য বাড়িঘর। হেমন্ত মৌসুমে খালের পানি হচ্ছে এসব মানুষের ভরসা। এছাড়া বোরো জমি আবাদ করা হয় এ খালের পানি দিয়ে। তবে কয়েক বছর আগে একটি মহল এ খালটি খাস কালেকসনে নিয়ে খাল শুকিয়ে মাছ ধরার কারণে পানি সংকটে বেকায়কায় পড়েন মানুষ। উপজেলা প্রশাসন থেকে নামমাত্র টাকা দিয়ে খাস কালেকসনে নিয়ে পরে লাখ লাখ টাকায় অন্যত্র দেয়া হয় সাবলীজ। এসব কারণে এলাকার আরেকটি মহল প্রতিবাদী হয়ে উঠেন। এবার জলমহালটি খাস কালেকসনে ইজারা নেয়া নিয়ে দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সামনে দুই পক্ষ হট্টগোল করেন। এ সময় প্রতিবাদী পক্ষের যুক্তরাজ্য প্রবাসী সিরাজ মিয়া প্রশাসনের কাছে প্রস্তাব রেখে ছিলেন তাঁকে খালটি লীজ দেয়া হলে তিনি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিবেন। তাতেও কাজ হয়নি। অবশেষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মজিদপুর গ্রামের আবদুল হান্দান ও নাদামপুর গ্রামের ছালিম উল্লাহ নামের দুই ব্যক্তিকে প্রতিনিধি নিয়োগ করে উক্ত জলমহালের দখলনামা বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে বলে স্থানীয় কলকলিয়া ইউনিয়ন তপসিলদার সেলিম মিয়া জানান। পরে আবার উক্ত জলমহালটি অন্য বছরের মতো ৮ লাখ ২০ হাজার টাকায় অন্যত্র সাবলীজ গেছে বলে এলাকায় জনশ্র“তি রয়েছে।
এদিকে-উক্ত জলমহাল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বড় ধরণের সংঘর্ষের আশঙ্কায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্ত রাখার স্বার্থে জগন্নাথপুর থানার এসআই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে উভয় পক্ষের ৯১ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলাটি দায়ের হওয়ার পর থেকে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্য পুলিশ বাদী হয়ে মামলা হয়েছে। তবে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা জগন্নাথপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ ইয়াসির আরাফাত বলেন, সাবলীজের বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।