স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর নয়াসড়ক জামে মসজিদের দানবাক্সের তালা ভেঙ্গে টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার রাতে এ ঘটনাটি ঘটছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, নয়াসড়ক জামে মসজিদের নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে। এ কাজে সাহায্য-সহযোগিতার জন্য মসজিদের সামনের বৈদ্যুতিক খুটিতে একটি দানবাক্স ও মিরবক্সটুলা রোডে মসজিদ সংলগ্ন আরেকটি বাক্স বসানো হয়। এবং মসজিদ ভাঙ্গার পর থেকে বর্তমান নামাজের স্থল রোজ টাওয়ার নিচে, টাওয়ারের সামনে ও মানিকপীর রোডেও দান বাক্স বসানো হয়। কিন্তু হঠাৎ করে রাতের যেকোন এক সময় রোজ টাওয়ারের সামনের বাক্সটির তালা ভেঙ্গে কে বা কারা টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। গতকাল শনিবার ফজরের নামাজ শেষে মুসল্লিরা দেখতে পান রাস্তায় সাটানো দান বাক্সটি তার নির্দিষ্ট স্থানে নেই এবং সেখানে কিছু টাকা পড়ে আছে। বিষয়টি জানাজানি হলে মসজিদের মোতাওয়াল্লী, স্থানীয় কাউন্সিলরসহ সবাই ঘটনাস্থলে ছুটে যান। বিকেলে সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর রাশেদ আহমদের উপস্থিতিতে প্রত্যেকটি দানবাক্স খুলে টাকা বের করা হয়। এসময় ৩টি দানবাক্সে ৯০ হাজার ৩শ ১৭ টাকা পাওয়া যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা তালহা জুনেদকে অত্র মসজিদের দানবাক্সের চাবি ও টাকা-পয়সা হিসাবের জন্য মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী দায়িত্ব দিয়েছিলেন।
দান বাক্সের দায়িত্বে থাকা সিসিক কর্মকর্তা তালহা জানান, অনেক দিন ধরে মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়নি। রোজ টাওয়ারের সামনে দানবাক্সটিতে প্রতি মাসে খুললে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা এক বাক্সতেই পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাশেদ আহমদ বলেন, বিষয়টি খুবই লজ্জাজনক। মসজিদের দানবাক্সের টাকা যারা চুরি করেছে তারা কখনো শান্তিতে থাকতে পারবে না। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নয়াসড়ক জামে মসজিদের মোতাওয়াল্লী আব্দুল মালিক রাজা মিয়া বলেন, অবহেলার কারনে মসজিদের টাকাগুলো চুরি হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা কখনো ঘটেনি। সিসি ক্যামেরা দেখে চোর শনাক্ত করার আশা ব্যক্ত করেন তিনি।