কমলগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান থেকে ফের বৃদ্ধি পেয়েছে গাছ পাচার। লাউয়াছড়া বন থেকে গাছ পাচারের ফলে কমেছে বনের ঘনত্ব। বনবিভাগের ব্যাপক তৎপরতার কারনে গাছ পাচার মোটামোটি বন্ধ হয়ে পড়লেও গত এক মাসে তিনটি বৃহদাকার সেগুন গাছ পাচারের ঘটনা ঘটেছে। অব্যাহত গাছ পাচারের ফলে হুমকিতে পড়েছে উদ্যানের বন্যপ্রাণি ও জীববৈচিত্র্য।
জানা যায়, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের গাড়িভাঙ্গা এলাকা থেকে গত গত এক মাসে তিনটি বৃহদাকার সেগুন সেগুন গাছ কেটে পাচার করেছে দুর্বৃত্তরা। ওই স্থানে কালের সাক্ষী হয়ে আছে গাছের গুড়ি। রাতের আঁধারে সিন্ডিকেট গাছ চোর চক্র বিভিন্ন সময়ে উদ্যান ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে গাছ কেটে পাচার করলেও বন বিভাগরে কর্মকর্তাদের ব্যাপক তৎপরতার কারনে গত কয়েক মাসে গাছ চুরি হ্রাস পায়। বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় সহকারী বন কর্মকর্তা মো. তবিবুর রহমান প্রায় দেড় মাস পূর্বে বদলী হওয়ার পর থেকে সম্প্রতি সময়ে গাছ চুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে গাছ পাচারের ফলে লাউয়াছড়া উদ্যান অনেকটাই ফাঁকা হয়ে গেছে। ফলে বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণি সহ উদ্যানে অবস্থানরত প্রাণির বাসস্থান সংকট প্রকট হচ্ছে। খাবার ও আবাসস্থল সংকটে হুমকির মুখে পড়েছে প্রাণি।
খাসিয়া সম্প্রদায়সহ স্থানীয়দের মতে, ১৯৯৬ সালে জাতীয় উদ্যান ঘোষণার পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বনের প্রায় ত্রিশ শতাংশ গাছ পাচার হয়েছে। ফলে কমেছে বনের ঘনত্ব। এখন গাছ পাচারকারীদের জন্য উদ্যানটি রীতিমতো হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে।
গাছ পাচার বিষয়ে বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় সহকারী বনকর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বলেন, পাচার হওয়া গাছের খন্ডাংশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বনকর্মকর্তা মো. মোহিত চৌধুরী বলেন, মঙ্গলবার আমি মাত্র যোগদান করেছি। তবে গাছ চুরির বিষয়টি শুনতে পেয়েছি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।