ফেঞ্চুগঞ্জে ছিনতাইর নাটক সাজিয়ে পিতা-পুত্র শ্রীঘরে

6

স্টাফ রিপোর্টার :
ফেঞ্চুগঞ্জে এক ডাক পিয়ন গত মঙ্গলবার ছিনতাইয়ের শিকার হন। এ সময় ছিনতাইকারীরা তার সাথে থাকা রেজিস্ট্রারি চিঠি, নগদ টাকা, হার্ডডিস্ক ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওইদিন পোস্ট মাস্টার বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রতিপক্ষের লোকজনকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফেসে অবশেষে পিতা-পুত্রের স্থান হলো শ্রীঘরে।
সুত্র জানায়, ফেঞ্চুগঞ্জের যুধিষ্ঠিপুর ডাক ঘরের পোস্ট মাস্টার হলেন আমজাদ হোসেন ও তার পুত্র মুমিন হোসেন একই অফিসের ডাক পিয়ন। গত ৮ সেপ্টেম্বর মুমিন নিজ এলাকায় ছিনতাইয়ের শিকার হোন। এ সময় ছিনতাইকারীরা ৩০টি রেজিস্ট্ররি চিঠি, নগদ ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা, কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক ও একটি মোবাইল নিয়ে যায়। ঘটনার পর স্থানীয় কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন পোস্ট মাষ্টার আমজাদ হোসেন। এরপর ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ওসির নেতৃত্বে অভিযানে নামে পুলিশ। অভিযানে ডাক পিয়ন মুমিনও সাথে ছিলো। তখন সে বেশ কয়েকজনের বাড়িতেও নিয়ে যায় পুলিশকে। একপর্যায়ে তার আচরণে সন্দেহ হয় ওসি’র। মুমিনকে পর্যবেক্ষণ করতে থাকেন তিনি। আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসতে থাকলো মূল ঘটনা। নিয়ে আসা হলো থানায়। চলে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ।
ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান জানান, প্রতিবেশিকে ফাঁসাতে মিথ্যা নাটক সাজিয়েছিলো পোস্ট মাস্টার আমজাদ হোসেন ও তার ছেলে পিয়ন মুমিন হোসেন। কিন্তু পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে পারেনি। জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ওসি বদরুজ্জামান আরো জানান, প্রতিবেশী ১০ বছরের এক শিশুর সাথে মুমিনের কথা-কাটাকাটি হয় ও মুমিন শিশুকে মারধর করে। এ নিয়ে শিশুটির অভিভাবকদের সাথে বাকবিতন্ডতা হয় মুমিন ও তার বাবা আমজাদের। এরই প্রতিশোধ হিসাবে তাদের সায়েস্তা করতেই বাপ ছেলে মিলে সরকারি মালামাল ছিনতাইয়ের নাটক সাজান। তিনি জানান, মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে জনসাধারণ ও পুলিশকে হয়রানির দায়ে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।