কোম্পানীগঞ্জের ৬নং দক্ষিণ রনিখাই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের দরাকুল হয়ে নোয়াগাঁও এলাকা পর্যন্ত একটি গ্রামীণ সড়কের অভাবে চরম ভোগান্তিতে স্থানীয় ১০ থেকে ১৫ হাজার জনসাধারণ।
সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে না উঠায় স্থানীয়দের পাশাপাশি ভোগান্তিতে আছেন পার্শ্ববর্তী গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের নোয়াগাঁও, নন্দিরগাঁও, আঙ্গারজুর এলাকার চলাচলকারী মানুষজনও।
দীর্ঘদিন ধরে সড়ক নির্মাণর দাবি জানিয়ে আসলেও গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে না উঠায় স্থানীয়রা চলাচল করেন ফসলের ক্ষেতের আল ধরে। সড়ক না থাকায় কাদা-পানি মাড়িয়ে দূরবর্তী দশগাঁও নোয়াগাঁও, সোনার বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় গিয়ে পড়ালেখাও করেন এলাকার অগণিত শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) ঘুরে দেখা যায়, এলাকার মানুষজনের যাতায়াত বিড়ম্বনার এমন দুর্ভোগের চিত্র।
জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জের ৬নং দক্ষিণ রনিখাই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের দরাকুল, সুন্দাউরা, মহেষখেড় এলাকার বিরাট একটি অংশের জনসাধারণ চলাচল করেন দরাকুল হয়ে গোয়াইনঘাটের নোয়াগাঁও গ্রামের ভেতর দিয়ে। বাণিজ্যিক কৃষি, শিক্ষা, সামাজিক, আত্মীয়তাসহ নানা কারণে দরাকুল, সুন্দাউরা, মহেষখেড়, নোয়াগাঁও, আঙ্গারজুর, নন্দিরগাঁও এলাকায় পর্যন্ত চলাচল করেন উভয় এলাকার ১০-১৫ হাজার মানুষজন। কিন্তু ওই এলাকায় নেই কোন গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। সহজতর সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে না উঠায় স্থানীয় উভয় উপজেলার এসব মানুষজন দীর্ঘকাল ধরে চরম ভোগান্তিতে পড়ে আছেন। তাদের ন্যায্য এ দাবিটি বাস্তবায়নে আলোরমুখ দেখছে না সুদীর্ঘকাল থেকে। তাদের জনগুরুত্বপূর্ণ এ দাবি বারবার উপেক্ষিত হয়ে আসছে।
দরাকুল গ্রামের মুরব্বী শফিকুর রহমান (সরকার), সরকুম আলী, মোশাহিদ আলী, সালুটিকর বাজারের ফার্মেসি ব্যবসায়ী কবির আহমদ জানান, গ্রামীণ এই সড়কটি বাস্তবায়িত না হওয়ায় জনভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। দীর্ঘদিন থেকে আমাদের এ দাবিটি উপেক্ষিত হয়ে আসছে।
দশগাও নোয়াগাও স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী সুজন দাশ, হাফসা বেগম, এনাম আহমদ, সুমি দাস, মিলাদ আহমদরা জানান, আমাদের বিদ্যালয়ের সাথে যোগাযোগ রক্ষাকারী কোনো সড়ক নেই। কাদা-পানি মাড়িয়েই আমরা সব সময় স্কুলে গিয়ে থাকি। আমাদের কষ্টগুলো যেন দেখার কেউ নেই।
দরাকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সালমা বেগম জানান, ওই গ্রামের সাথে সংযোগ রক্ষাকারী সড়ক নেই। তাই পথচারীর পাশাপাশি শিক্ষার্থী, শিক্ষকরাও চরম দুর্ভোগ ভোগান্তির মধ্যে আছি। কাদা-পানি মাড়িয়ে সব সময় আমাদের স্কুলে আসতে হয়।
এ ব্যাপারে কথা হলে ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শাহিন আহমদ জানান, বিষয়টি দীর্ঘদিন থেকে আমাদের কষ্টের কারণ। তাছাড়া বর্তমানে সব ধরণের উন্নয়ন বরাদ্দ বন্ধ থাকায় আমাদের ইউনিয়নের তরফে এই রাস্তার কাজ শুরু করাও সম্ভব নয়। তবে ভবিষ্যতে তা বাস্তবায়নে আমি ভূমিকা পালন করবো।
৬নং দক্ষিণ রনিখাই ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান রুকনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সরেজমিনে পরিদর্শনকালে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী জানান, সড়কটি বাস্তবায়িত হলে গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জের এই এলাকার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি সাধন, আইনশৃংখলা পরিস্থিতি উন্নয়নেও সড়কটি ভূমিকা পালন করবে।
তাই তারা দ্রুত প্রকল্প গ্রহণ স্বাপেক্ষ উক্ত জনগুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ এই সড়কটি বাস্তবায়নে সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপির সুদৃষ্টি কামনা করেন। (খবর সংবাদদাতার)