কাজিরবাজার ডেস্ক :
পর্যাপ্ত মজুদ থাকলেও রমজানে নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে—এ যেন একটি নিয়মে পরিণত হয়েছে। সেই নিয়মের ব্যাঘাত না ঘটাতে এবারও আগেভাগেই বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। গত তিন-চার দিনে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজে পাঁচ টাকা করে দাম বেড়েছে।
জানা গেছে, রমজান মাসের চাহিদাকে কেন্দ্র করে প্রতিবছরই ব্যবসায়ীরা আগেভাগেই নিত্যপণ্যের বাজারে বাড়তি মজুদ গড়ে তোলে। এ সময় তেল, চিনি, পেঁয়াজ, ছোলা-বুটসহ কয়েকটি পণ্যের ব্যবহার বেশি হয়ে থাকে। বাড়তি মজুদ থাকার পরও প্রতিবছরই বেশির ভাগ পণ্যের দাম লাগামহীন হয়ে পড়ে। এখনো রোজা শুরু হতে ১৫ দিনের বেশি সময় থাকলেও বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম।
খুচরা বাজারগুলোতে দেখা গেছে, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। এর পাশাপাশি প্রতি কেজি আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবির) তথ্য মতে, এক মাসের ব্যবধানে আমাদানি করা পেঁয়াজ ৮.৩৩ শতাংশ এবং দেশি পেঁয়াজে ১০.৬৭ শতাংশ পর্যন্ত দাম বেড়েছে। তবে টিসিবির বাজার বিশ্লেষণের তথ্য বলছে, তিন-চার দিন আগের দেশি পেঁয়াজের সর্বোচ্চ খুচরা দাম ছিল ৪০ টাকা এবং আমদানি করা পেঁয়াজের সর্বোচ্চ খুচরা দাম ছিল ২৮-৩০ টাকা।
কাঁচাবাজারের খুচরা বিক্রেতা আনিসুর রহমান বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম তো একটু বাড়বেই। সামনে রমজান। আরো কত বাড়ে সেইটা দেখেন। এখন তো পাঁচ টাকা বাড়ছে।’
পেঁয়াজের পাইকারি বিক্রেতারা দাবি করেন, পেঁয়াজের আমদানি কিছুটা কম হচ্ছে। যে কারণে দাম বেড়েছে। তবে কেন আমদানি কম হচ্ছে সে বিষয়ে তারা কিছু বলতে পারছেন না।
এ বিষয়ে পেঁয়াজের পাইকারি এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘বাজার একটু বেড়েছে। রমজান উপলক্ষে চাহিদা একটু বেড়ে গেছে। আবার আমদানিও একটু কম হচ্ছে। যে কারণে দাম বেড়েছে।’
কাঁচা পণ্য মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, ‘দুই-তিন দিনের ব্যবধানে দুই-তিন টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে পাইকারি বাজারে। এই পেঁয়াজটা ভারতীয় বাজারের ওপর নির্ভরশীল এবং সামনে রমজান। এ কারণে সামান্য অস্থির হতে পারে। কারণ আমাদের বাড়তি চাহিদার কথা চিন্তা করে ভারতের বাজারে দাম বেড়ে যেতে পারে। কী হয় এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না।’
পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মূলত রমজানকে লক্ষ্য করেই দাম বাড়ানো হয়েছে পেঁয়াজের। তাদের মতে, এবারও রোজা শুরুর আগ মুহূর্তে আরো দাম বাড়বে পেঁয়াজের।
এ জন্য ক্রেতারা এখনই সরকারের কড়া নজরদারির দাবি করেছে। যাতে মিথ্যা অজুহাতে ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বৃদ্ধি করতে না পারে। কয়েকজন ক্রেতা বলেন, প্রতিবছরই ব্যবসায়ীরা সুযোগ নেয়। এর জন্য কড়া নজরদারির কোনো বিকল্প নেই।