স্পোর্টস ডেস্ক :
বার্সার নতুন কোচ রোনাল্ড কোম্যানের পরিকল্পনায় যে কতিপয় ফুটবলারের স্থান হয়নি তাঁদের মধ্যে লুইস সুয়ারেজ একজন। স্বাভাবিকভাবেই বার্সেলোনা তাঁর প্রতি আগ্রহী না হওয়ায় নিজের পথ নিজেই খুঁজে নিচ্ছেন উরুগুয়ে স্ট্রাইকার। আর দলবদলের বাজারে সুয়ারেজকে দলে নেওয়ার দৌড়ে আগাগোড়া সবচেয়ে এগিয়েছিল জুভেন্টাস। শোনা যাচ্ছে, সেই জল্পনাই এবার বাস্তব রূপ নেওয়ার পথে।
স্পেনের প্রথম সারির এক ক্রীড়া সাংবাদিক সুয়ারেজের দলবদলের ব্যাপারে সর্বশেষ যে রিপোর্ট পেশ করেছেন তাতে খুব অঘটন না ঘটলে আসন্ন মৌসুমে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পাশেই দেখা যাবে লুইস সুয়ারেজকে।
স্প্যানিশ ক্রীড়া সাংবাদিক গুইলেম বালাগুই জানিয়েছেন, পারিশ্রমিকের বিষয়ে জুভেন্টাসের সঙ্গে একেবারে চূড়ান্ত পর্যায়ের কথাবার্তা চলছে সুয়ারেজের। অর্থাৎ, বার্সেলোনার সঙ্গে আরও এক বছরের চুক্তি থাকলেও ঠিকানা বদলে তুরিনেই বাসা বাঁধতে চলেছেন তিনি।
চুক্তির বিষয়ে ওই ক্রীড়া সাংবাদিক জানিয়েছেন, আপাতত এক বছরের জন্য সুয়ারেজকে দলে নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে জুভেন্টাস। এবং এই এক বছর বার্সেলোনার সমপরিমাণ পারিশ্রমিকই সুয়ারেজকে দেবে তারা। পরবর্তীতে অর্থাৎ ২০২১-২০২২ মৌসুমের আগে চুক্তি বর্ধিত করার বিষয়টি পুনরায় ভেবে দেখবে তুরিনের ক্লাব। সুয়ারেজও জুভেন্টাসের প্রস্তাবে সায় দিয়ে দিয়েছেন প্রায়। তা সত্ত্বেও দু-একটা বিষয়ের উপর এখনও ঝুলে থাকছে সুয়ারেজের জুভেন্টাসে যোগদানের বিষয়টি।
যার প্রথমটি হলো জুভেন্টাস ইতিমধ্যেই তাদের বিদেশি কোটা সম্পূর্ণ করে ফেলেছে। শালকে থেকে ওয়েস্টন ম্যাকেনি এবং বার্সেলোনা থেকে আর্থার মেলোকে ইতিমধ্যেই কিনে ফেলেছে তারা। আর দ্বিতীয় ব্যাপারটি হলো নাগরিকত্ব ইস্যু। যেহেতু ইতালির ব্যক্তিগত নাগরিকত্বের আইন অন্যান্য দেশের তুলনায় ভিন্ন তাই জুভেন্টাসে খেলতে হলে সুয়ারেজকে ইতালির নাগরিকত্ব নিতে হবে। বার্সেলোনায় খেলার সময় ‘ইইউ প্লেয়ার’ হিসেবে স্ত্রী সোফিয়া বালবির ইতালির নাগরিকত্ব তাঁর ব্যক্তিগত নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করতেন সুয়ারেজ। কিন্তু এক্ষেত্রে তা হবে না।
এখন দেখার সব বাধা কাটিয়ে আসন্ন মৌসুমে উরুগুয়ে স্ট্রাইকারের গন্তব্য কোথায় হয়। উল্লেখ্য, ২০১৪ কাতালোনিয়া ক্লাবে যোগদানের পর সবধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২৮৩ ম্যাচে ১৯৮ গোল করেছেন সুয়ারেজ। যার মধ্যে ২০১৪-২০১৫ ট্রেবেল জয়ী দলের (চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, লা লিগা এবং কোপা দেল-রে) সদস্য হওয়া বার্সেলোনায় কাটানো সুয়ারেজের সবচেয়ে স্মরণীয় মৌসুম।