স্পোর্টস ডেস্ক :
নিশিওকার বিরুদ্ধে প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে প্রথম দু’টি সেট হেরেও দুরন্ত কামব্যাক করেছিলেন। মনে হয়েছিল প্রথম রাউন্ডে এই দুরন্ত কামব্যাকটাই ইউএস ওপেনে অনেকটা দূর পৌঁছে দেবে তাকে। কিন্তু ২০ বছরের কানাডিয়ান প্রতিদ্বন্দ্বী ফেলিক্স অগার-আলিয়াসাইমের কাছে দ্বিতীয় রাউন্ডেই স্ট্রেট সেটে ধরাশায়ী হলেন অ্যান্ডি মারে।
টুর্নামেন্টে ১৫তম বাছাই ফেলিক্স অগার-আলিয়াসাইমের বিরুদ্ধে কোনওরকম দাঁত ফোটাবার সুযোগ পাননি মারে। তরুণ প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে ৯টি মেজর জয়ী মারে হারলেন ২-৬, ৩-৬, ৪-৬ সেটে। আর্থার অ্যাশ শুক্রবার অলিম্পিক সোনাজয়ী মারের বিরুদ্ধে ৫২টি উইনার মারেন বছর কুড়ির কানাডিয়ান। তৃতীয় রাউন্ডে ব্রিটেনের ড্যান ইভান্স এবং কোরেন্টিন মৌতেতের মধ্যে বিজয়ীত মুখোমুখি হবেন ফেলিক্স। পক্ষান্তরে চোট সারিয়ে কোর্টে ফিরে মারে এখনও স্বচ্ছন্দ হয়ে উঠতে পারেননি সেটা ব্রিটেন তারকার পারফরম্যান্সে স্পষ্ট।
ম্যাচ শেষে মারে স্বীকারও করে নিলেন সেই কথা। টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়ে মারে জানিয়েছেন, ‘প্রথম রাউন্ডে শারীরিক ভাবে আমি অনেক বেশি স্বচ্ছন্দ ছিলাম। এমন একটা অবস্থায় যত বেশি তুমি টুর্নামেন্ট খেলবে, যত ম্যাচ খেলবে তত তুমি আরও শক্তিশালী এবং ম্যাচ জয়ের উপযুক্ত হয়ে উঠবে। যেটা আমি এই মুহূর্তে একেবারেই নই।’ উল্লেখ্য, হিপ ইনজুরি এবং ফলশ্রুতি হিসেবে ২০১৯ জানুয়ারিতে অস্ত্রোপচার। সেই অস্ত্রোপচারের পর চলতি ইউএস ওপেনেই প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম ম্যাচ খেললেন মারে।
তবে সব মেনে নিলেও ব্রিটিশ তারকার বিরুদ্ধে কানাডিয়ান প্রতিদ্বন্দ্বীর কৃতিত্ব কোনওভাবেই খাটো হওয়ার নয়। উল্লেখ্য, প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে জাপানের প্রতিদ্বন্দ্বী যোশিহিতো নিশিওকার বিরুদ্ধে ৪ ঘন্টা ৪০ মিনিটের লড়াই চলেছিল মারের। প্রথম দুই সেট খুঁইয়েও দুরন্ত প্রত্যাবর্তন করে টানা তিন সেট জিতে নিয়েছিলেন মারে। মারের বিরুদ্ধে জয় নিয়ে বলতে গিয়ে কানাডিয়ান প্লেয়ার জানিয়েছেন, ‘অ্যান্ডি মারের মত প্লেয়ারের সামনে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকাও কখনও নিরাপদ নয়। কারণ তুমি জানো না কখন হঠাৎ করে এমন প্লেয়ার ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াবে।
তুমি জানো না সে পকেটে কোন তুরুপের তাস লুকিয়ে রেখেছে। এমন ম্যাচ খুব সহজ নয়, কারণ তুমি একজন চ্যাম্পিয়নের মোকাবিলা করছো। তাই আমি এটুকু বলতে পারি এমন ম্যাচ রোজ রোজ আসবে না।’