বিশ্বনাথ থেকে সংবাদদাতা :
বিশ^নাথ-লামাকাজি সড়কের আমতৈল পিছেরমুখে পিকেটিংকালে ট্রাক আটকানো নিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে থানার ওসি ও দারোগাসহ উভয়পক্ষে অর্ধশত লোকজন আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ৪জনসহ গুরুতর আহত পুলিশ সদস্য মোট ১০জনকে সিলেট ওমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় ১০জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। তবে, তাৎক্ষণিকভাবে আটককৃতদের নাম ঠিকানা জানা যায়নি।
রবিবার (২৮মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ধলিপাড়ার ট্রাক চালক খায়রুল ইসলাম ও রামপাশা ইউনিয়ন হেফাজতের আহবায়ক আমতৈল গ্রামের বাসিন্দা মুফতি মাওলানা ফারুক আহমদ পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ধলীপাড়া গ্রামের খায়রুল আলম তার ট্রাক (ঢাকা মেট্টো-ট- ১৮-৯৮২৩) গাড়ি নিয়ে লামাকাজি থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় রামপাশা-লামাকাজী সড়কের আমতৈল পিছের মুখ নামক স্থানে গেলে স্থানীয় হেফাজত নেতারা তার ট্রাক আটকান। এতে দু’পক্ষে উত্তেজনা বিরাজ করে। এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিধর্মী লোকজন হামলা করছে জানিয়ে গ্রামের মাইকে ঘোষণা দেন হেফাজত নেতা মুফতি ফারুক আহমদ। আর এতে আরও উত্তোজনা ছড়িয়ে পড়লে আমতৈল গ্রামের জামায়াত, বিএনপি ও হেফাজত নেতারা মুফতি ফারুক আহমদের পক্ষে এবং ধলী পাড়ার লোকজন ট্রাক চালক খায়রুলের পক্ষ নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
এতে আহত হন থানার ওসি শামীম মুসা (৪৫), এসআই আফতাব উজ্জামান রিগ্যান (৩৩), কনস্টেবল নাহিদ হাসান (২১), জাবেদ মিয়া (২২), ইমরান আহমদ (২২), আব্দুল আলীম (২১), হেফাজত নেতা মুফতি মাওলানা ফারুক আহমদ (৪৬), তার পক্ষের গুলিবিদ্ধ জয়নাল আবেদীন (৫২), গুজুলজার আলী (৫০), আলী আকবর (২৫) ও রুমেল মিয়া (২৪), মোহন মিয়া (৪৫), ফারুক আহমদ ( ৩৫), ছইদুল ইসলাম (২৫), চান মিয়া (৩৫) ও ফয়সল আহমদ (১৪), ধলিপাড়ার ট্রাক চালক খায়রুল ইসলাম (৩৩), তার পক্ষের আফাজ উদ্দিন সুবল (৪৫), কাচা মিয়া (৩৫), আব্দুছ সালাম (৬২), এনামুল হক (২৮), ওয়াছিদ আলী (৫২), নেছার আলী (৩১), আখলাক আহমদ (১৬), ছানোয়ার মিয়া (২০), ইমন আহমদ (১৮), শিপু মিয়া (২৫), মিলাদ আহমদ (৩৫), আমিরুল ইসলাম (৩০) নজির আহমদ (৩১), জাবের মিয়া (২১), আব্দুল কদ্দুছ (৭০), জহিরুল ইসলাম (৩৮) ও ইমাম উদ্দিন (৩৬)।
বিশ^নাথ থানার ওসি শামীম মুসা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে আমতৈল গ্রামের লোকজন পুলিশের উপরও হামলা চালায়। পরে প্রায় ৮০/৯০ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ও ৭ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ৮ থেকে ৯০০ ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে জােিনয় ওসি বলেন, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় ১০জনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।