মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজার শহরে প্রকাশ্যে আসর বসিয়ে মাদক সেবন, নারী ধর্ষণ ও ঘটনাকারীরা নিজ উদ্যোগে ফেসবুকে প্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজার পৌর শহরের চৌমুহনা চত্বরে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে এক প্রতিবাদ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, মৌলভী সৈয়দ কুদরত উল্লাহ্ ফাউন্ডেশনের সভাপতি সৈয়দ সাহাব উদ্দিন আহমদ, সচেতন নাগরিক সমাজের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, জেলা যৌন হয়রানী নির্মূল কমিটির সভাপতি রাশেদা বেগম, সম্মিলিত সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি খালেদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আলীম উদ্দিন আলীম, শেখ বুরহান উদ্দিন (রহ:) ইসলামী সোসাইটির চেয়ারম্যান এম মুহিবুর রহমান মুহিব।
বক্তারা বলেন, অবিলম্বে দোষিদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিতের দাবী করেন। পরে একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসক বরাবরে প্রদান করা হয়।
প্রসঙ্গত. গত ৩ আগস্ট মৌলভীবাজার শহরের সোনাপুর এলাকায় মাহমুদ এইচ খানের বাসায় মদ ও গাঁজা পার্টির আসর বসে। ওই সময়ে বন্ধুদের নিয়ে গাঁজা সেবন ও ধর্ষনের আড্ডা ও রাতভর নানা আমুদ ফুর্তি ইত্যাদি হয়। মাহমুদ এইচ খান, সজিব, রায়হান, মার্জিয়া প্রভা ও মারিয়া রাত্রীযাপন করেন। গত ২৫ আগষ্ট সজিব তার বান্ধবীর সাথে জোর করে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয় মাহমুদ এইচ খান। পর দিন ২৬ আগষ্ট সজিব ধর্ষণের কথা অস্বীকার করে মেয়েটির ইচ্ছাতেই সব হয়েছে বলে পাল্টা পোস্ট দেয়।
ওই রাতের ঘটে যাওয়া ঘটনার সকলকিছু নিজেরাই নিজেদের ফেসবুকে তোলে ধরে। প্রতিনিয়তই হত এমন পার্টি। কিন্তু তা নিজেরা নিজেদের মধ্যেই তা চেপে রাখত। ওই দিন আমুদ ফূর্তির ভাগবাটোরায় দ্বন্ধ নিয়ে বেসামাল হয়ে নিজেরাই বলে দেয় অভ্যন্তরীণ বেহুঁশ বেফাস কথা।
গত কয়েকদিন থেকে এমন মাদক সেবন ও নারীকে ধর্ষণের স্বীকারোক্তি নিয়ে পাল্টাপাল্টি কিছু ছবিসহ স্ট্যাটাস দেয়া হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয় মৌলভীবাজারে।