সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ॥ বৈধ ইজারাদার হয়ে রয়্যালিটি আদায় করতে পারছে না এস এ এন্টারপ্রাইজ

12
সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করছেন এসএ এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী শাহিন আহমদ।

স্টাফ রিপোর্টার :
জৈন্তাপুরের সারি-১ ও ২ এবং বড়গাং নদী বৈধভাবে ইজারা নিয়েও রয়্যালিটি আদায় করতে পারছে না এস এ এন্টারপ্রাইজ। পরিবহন শ্রমিকদের চাঁদাবাজি ও বাধার কারণে রয়্যালিটি আদায় করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ইজারা গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী শাহিন আহমদ। সোমবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে শাহিন আহমদ বলেন, একটি কুচক্রি মহলের কারণে জৈন্তাপুর উপজেলার সারি ও বড়গাং বালু কোয়ারি গত তিন বছর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইজারা বিজ্ঞপ্তি দেয়া হলেও কেউ ইজারা নেয়নি। ফলে সরকার বিশাল অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়। অথচ ওই কুচক্রি মহল কোয়ারি থেকে অবৈধভাব বালু উত্তোলন ও বিক্রির সাথে জড়িত ছিল। বারবার মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেও তাদেরকে দমানো যায়নি। তিনি বলেন, চলতি বছর জেলা প্রশাসন ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রদান করলে আমি সিডিউল ক্রয় করে জমা দেই। সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে আমি যথাযথ প্রক্রিয়া ইজারা লাভ করি। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন আমাকে সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলে আমাকে আশ্বস্ত করেন। জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গত ৭ জুন কোয়ারি দুটির দখল আমাকে সমঝিয়ে দেন। একই সাথে সারি বালু কোয়ারির উৎসমুখ সরুফৌদ গ্রামের সিলেট তামাবিল সড়ক থেকে রয়্যালিটি আদায় করার জন্য অনুমতি প্রদান করা হয়। উল্লেখিত কোয়ারিগুলোর সৃষ্টিলগ্ন থেকে হাজার হাজার বারকি শ্রমিক তাদের বারকি নৌকা দিয়ে বালু উত্তোলন করে এক ধরনের মধ্যস্তভোগী ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রি করেন। কারণ, ইজারাদারদের বালু ডাম্পিংয়ের নিজস্ব কোনো জায়গা না থাকায় এবং শ্রমিক অসন্তোষের আশঙ্কা থাকায় মধ্যস্তভোগী ব্যবসায়ীরা শ্রমিকদের নিকট থেকে বালু সংগ্রহ করে ট্রাক গাড়িতে বিক্রি করে। ট্রাক গাড়ি থেকে ইজারাদারগণ সরকারের নির্ধারিত হারে রয়্যালিটি আদায় করেন। আমরা যখন রয়্যালিটি আদায় করতে শুরু করি তখন পরিবন শ্রমিকরা জোরপূর্বক বালু নিয়ে যেতে চায়। এমনকি তারা বেআইনিভাবে সিলেট-তামাবিল সড়কে বেরিকেড সৃষ্টি করে সকল প্রকার যানবাহন বন্ধ করে প্রায় ৭ ঘন্টা রাস্তা বন্ধ করে রাখে। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মধ্যস্ততায় তারা বেরিকেড তুলে নেয়। আবার তারাই উল্টো ধর্মঘট আহবান করে আমাদেরকে চাঁদাবাজ উল্লেখ করে অপপ্রচার চালায়। শাহিন আহমদ আারও বলেন, আমি বৈধ ইজারাদার হয়েও রয়্যালিটি আদায় করতে বাধার সম্মুখিন হচ্ছি। অথচ পরিবহন শ্রমিকরা সিলেট-তামাবিল সড়কের বিভিন্্ন স্থানে আন্ত:জেলা ট্রাক থেকে অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করে আসছে। পরিবহন শ্রমিকরা গত রবিবার তাদের ধর্মঘাট প্রত্যাহার করলেও তারা আমার কোয়ারিতে প্রায় সহস্রাধিক ট্রাক লাগিয়ে বালু লুটপাট করে নিয়ে যায়। আমি এ বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে অবগত করলেও কোনো সহায়তা পাইনি। সংবাদ সম্মেলনে শাহিন আহমদ সারি-১, ২ ও বড়গাং বালু কোয়ারির বৈধ ইজারাদার হিসেবে নির্বিঘ্নে রয়্যালিটি আদায়ে প্রশাসনের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন।