সরকারি সিদ্ধান্তে গণপরিবহন ও রাজপথ ফিরেছে পুরনো রূপে। করোনাকালের সবকিছুর বদল হলেও সিলেটে বদলায়নি গণপরিবহনের ভাড়া।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৫০ শতাংশ আসন ফাঁকা রেখে গণপরিবহন পরিচালনার জন্য ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি করে সরকার। কিন্তু সিলেটে শতভাগ আসনে যাত্রী নিচ্ছে পরিবহনগুলো। শুধু ভাড়া ফেরেনি আগের জায়গায়। বাড়তি ভাড়াই নিচ্ছে তারা। এতে সিলেটে যাত্রী ভোগান্তি ও হয়রানি চরমে পৌঁছেছে।
এই অবস্থায় ফুঁসে উঠেছেন যাত্রীসাধারণ। তাদের দাবি- সিলেটে গণপরিবহনে আগের মতোই ভাড়া আদায় করা হোক।
এদিকে, যাত্রীদের দাবির মুখে সিলেটের সকল রুটে গণপরিবহনের ভাড়া কমানোর অনুরোধ জানিয়েছে জেলা পরিবহন মালিক সমিতি। গণপরিবহন চালক-শ্রমিকদের প্রতি এ অনুরোধ জানান সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম।
তবে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানালেন সিলেট জেলা- বাস, মিনিবাস, কোচ, মাইক্রোবাস, শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি নং বি ১৪১৮)-এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুনু মিয়া।
জানা গেছে, গণপরিবহনের ভাড়া কমানোর অনুরোধ জানিয়েছে জেলা পরিবহন মালিক সমিতি। এ সমিতির সভাপতি আবুল কালাম এ বিষয়ে বুধবার (১৯ আগষ্ট) জানান, আমরা সিলেটের সকল সড়কের গণপরিবহনগুলোর চালক ও শ্রমিকদের অনুরোধ জানিয়েছি- বুধবার থেকে যেন পূর্বের ভাড়ায় তারা ফিরে যান। তবে কেউ যদি সরকারি বর্ধিত ভাড়া দিয়ে পাশের সিট ফাঁকা রাখতে চান তাহলে তিনি রাখতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ৬০% বাড়তি ভাড়া আদায় করা যেতে পারে।
আবুল কালাম বলেন, বেশিরভাগ যাত্রী বেশি ভাড়া দিতে রাজি নন। আবার কিছু কিছু বাসের ড্রাইভার দুই সিটেও যাত্রী পরিবহণ করেন। সব মিলিয়ে পরিবহনখাতে বর্ধিত ভাড়া নিয়ে একটা বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা সরকারের কাছে বারবার পূর্বের ভাড়ায় ফিরে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছি। তবে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাচ্ছি না। অথচ প্রতিদিন পরিবহনের ভাড়া নিয়ে ছোট-বড় সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।
এদিকে, এ বিষয়ে এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানালেন সিলেট জেলা- বাস, মিনিবাস, কোচ, মাইক্রোবাস, শ্রমিক ইউনয়েনের ভারপ্রাপ্ত সভাতি রুনু মিয়া।
তিনি জানান, এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সিদ্ধান্ত নিতে হলে মালিক সমিতিকে আমাদের সঙ্গে বসতে হবে। একা একা তারা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। তাছাড়া সরকারিভাবে এমন কোনো নতুন নির্দেশনা আসেনি। (খবর সংবাদদাতার)