মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, রাজনীতিবিদ, স্বনামধন্য চিকিৎসক হারিছ আলীর আজ প্রয়াণদিবস। ২০১৩ সালের ২০ আগষ্ট তিনি ঢাকার একটি ক্লিনিকে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।
আজ ডা. হারিছ আলী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দরগা হযরত শাহজালাল (রহ.) জামে মসজিদে বাদ জোহর তাঁর মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হবে। এতে তাঁর আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও রাজনীতি শোভানুধ্যায়ীদের উপস্থিত থাকতে পরিষদের পক্ষ থেকে তাঁর তৃতীয় পুত্র ফেরদৌস কবির টিপু অনুরোধ জানিয়েছেন।
ডা. হারিছ আলীর জন্ম ১৯৪১ সালের ৩১ মে, সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার দেবেরগাঁওয়ে।
তিনি ছিলেন স্বাপ্নিক এবং সংগ্রামী। ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে, এর আগে (১৯৬২-১৯৬৩) সিলেট মেডিক্যাল কলেজ ও সিলেট বিশ্ববিদ্যালয় আন্দোলনে ছাত্রসংগঠক হিসেবে, (১৯৭৯-১৯৮১) যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ হিশেবে এবং যুক্তরাজ্য যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে, সুনামগঞ্জ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হিশেবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া সাংবাদিকতার জগতেও তিনি সক্রিয় ছিলেন। আবদুল গাফফার চৌধুরী সম্পাদিত ‘বাংলার ডাক’- এ তিনি সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছিলেন লন্ডন থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক ‘বজ্রকণ্ঠর’ (১৯৮১) সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য।
রাজনীতি, চিকিৎসা আর সাহিত্যসাধনাই ছিল হারিছ আলীর আদর্শঘটিত কর্মোদ্যম। ২০১৪ সালে তাঁকে মরণোত্তর রাষ্ট্রীয় সম্মান স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করা হয়। ২০০৮ সালে তাঁর লেখা লিমেরিক ও গানের বই ‘ছন্দ সুরের বন্দনা’ ঢাকার উৎস প্রকাশন থেকে বের হয়। তাঁর প্রথম প্রয়াণবার্ষিকী উপলক্ষে স্মারকগ্রন্থ ‘স্বাপ্নিক এবং সংগ্রামী ডা. হারিছ আলী’ (২০১৪) প্রকাশিত হয়েছে ডা. হারিছ আলী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে। এ গ্রন্থটি সম্পাদনা করেছেন আবিদ ফায়সাল ও ফেরদৌস কবির টিপু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে নানাবর্গের শতাধিক লেখকের লেখায় ডা. হারিছ আলীর ঘটনাবহুল জীবনের বহু অকথিত কাহিনী বেরিয়ে এসেছে। উপস্থাপিত হয়েছে শিহরনসঞ্চারী সাহসী আখ্যান।
২০১৮ সালে ‘মোহাম্মদ হারিছ আলী’ শিরোনামে কবি ও প্রাবন্ধিক আবিদ ফায়সাল একটি গ্রন্থ লিখেছেন। এটি প্রকাশ করেছে মদনমোহন সাহিত্য পরিষদ। ডক্টর আবুল ফতেহ ফাত্তাহর ভাষায় : আবিদ ফায়সালের গদ্যশৈলী ও সাবলীল বাক্যবিন্যাসে মোহাম্মদ হারিছ আলীর জীবনকর্ম ভিন্নমাত্রা লাভ করেছে। বিজ্ঞপ্তি