স্পোর্টস ডেস্ক :
আরব আমিরাতে ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে হতে যাচ্ছে আইপিএল, রবিবার এক মিটিংয়ের পর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইপিএলের গভর্ণিং কাউন্সিল। এদিকে আইপিএল আয়োজনে বিসিসিআইকে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে ভারতের ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, এমন জানিয়েছে ক্রিকবাজ।
মিটিংয়ে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি দলকে সর্বোচ্চ ২৪ জনের স্কোয়াডের সদস্যসংখ্যা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তবে কোভিড-১৯ বদলি প্রয়োজনমতো যে কোনো সংখ্যক করা যাবে।
আইপিএলের সঙ্গে হবে উইমেনস আইপিএল বা উইমেনস টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জ। ছেলেদের টুর্নামেন্টের সূচির শেষ সপ্তাহে হবে এ টুর্নামেন্ট, তবে সে সময় থাকার কথা উইমেনস বিগব্যাশও। ভারতীয় ক্রিকেটাররা এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও দ্বিমত পোষণ করেছেন অ্যালিসিয়া হিলিসহ কয়েকজন অস্ট্রেলিয়ান ও নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটার। তাদের মতে, মেয়েদের ক্রিকেট সামনে এগিয়ে নিতে এসব টুর্নামেন্ট আলাদা আলাদা সময়ে হওয়া প্রয়োজন।
এপ্রিলে শুরু হওয়ার কথা থাকা আইপিএল অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছিল কোভিড-১৯ মহামারির কারণে। ভারতে করোনাভাইরাস মহামারির অবস্থা উন্নত না হওয়ায় আরব আমিরাতে আয়োজনের পরিকল্পনা করেছিল বিসিসিআই, যা ছিল শুধু সরকারের অনুমতির অপেক্ষায়। শারজাহ, দুবাই ও আবুধাবি– এ তিনটি ভেন্যুতে হওয়ার কথা আইপিএলের ম্যাচগুলি।
আইপিএলের মেজর স্পন্সরগুলিও থাকছে আগের মতোই, চায়নাভিত্তিক মোবাইল ফোন কোম্পানি ভিভোকে নিয়ে কথা উঠলেও টাইটেল স্পন্সরশিপ থাকছে তাদের কাছেই।
ভারতীয় সময় ৭.৩০-এ হবে সন্ধ্যার ম্যাচগুলি। তবে দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে কিনা, সেটি নিশ্চিত করা হয়নি এখনও। ভারতীয় সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে আমিরাত বোর্ডের সচিব মুবাশ্বির উসমানী বলেছেন, সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে মাঠের ধারণক্ষমতার ৩০-৫০ শতাংশ দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হতে পারে।
করোনা ভাইরাস মহামারির পর আইপিএল দিয়েই ক্রিকেটে ফিরছে ভারত। এর আগে মহামারির শুরুর দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে সীমিত ওভারের সিরিজ স্থগিত হয়েছিল তাদের, এরপর স্থগিত হয়েছে বেশ কিছু সিরিজ। ২০২০ সালের আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্থগিত হয়ে যাওয়ায় আয়োজনের জন্য নতুন উইন্ডো পেয়েছে বিসিসিআই।
ভারতের বাইরে আইপিএল হওয়ার ঘটনা অবশ্য এটিই নতুন নয়। ২০০৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় এ টুর্নামেন্টের পুরোটি হওয়ার পর ২০১৪ সালে প্রথমভাগ হয়েছিল আরব আমিরাতেই, দুবারই ভারতে ছিল সাধারণ নির্বাচন।
এদিকে আইপিএলে বিদেশী ক্রিকেটারদের সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত নয় এখনও। নিউজিলিয়ান্ড ক্রিকেটাররা তাদের বোর্ডের কাছ থেকে অনাপত্তিপত্র পেলেও ঝুলে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটাররা। বোর্ড অনাপত্তিপত্র দিলেও সরকারের অনুমতির প্রয়োজন হবে তাদের, এই মুহুর্তে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আছে তাদের। মোট ১০ জন দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার আইপিএলের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ আছেন।
অবশ্য আইপিএলের আগেই শুরু হচ্ছে আরেকটি টি-টোয়েন্টি লিগ- সিপিএল। এবার শুধু ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোব্যাগোতে হবে এ টুর্নামেন্টের আসর। এছাড়াও নিজেদের প্রিমিয়ার লিগ আবারও আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড।