দোয়ারাবাজার থেকে সংবাদদাতা :
একটি সেতুর অভাবে ভোগান্তিতে রয়েছেন দোয়ারাবাজার উপজেলার পান্ডারগাঁওসহ ৩ ইউনিয়নের ১০ গ্রামের মানুষ। এলাকার মরা সুরমা নদী পারাপারে বাঁশের সাঁকোই এখন তাদের ভরসা।
দোয়ারাবাজার উপজেলার পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের মঙ্গলপুর বাজার-বাজিতপুর গ্রামের নিকটে প্রতি বছর স্থানীয়রা নিজেদের উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে যাতায়াত করেন। স্থানীয় মঙ্গলপুর বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মরা সুরমা নদী পার হয়ে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাজিতপুর, মাছিমপুর, মান্নারগাঁও ইউনিয়নের চন্ডিপুর, ইদনপুর, আজমপুর, পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের মঙ্গলপুরসহ দুই পারের অন্তত ১০ গ্রামের মানুষকে প্রতিদিন আসা-যাওয়া করতে হয়। এছাড়া স্থানীয় মঙ্গলপুর দাখিল মাদরাসা, হাজী কনুমিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, সোনাপুর ক্বওমী মাদরাসার শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করে।
স্থানীয়রা জানান, বর্ষায় নদীর প্রবল ¯্রােতে সাঁকোটির বিভিন্ন অংশ ভেঙে যায়। এতে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে সাঁকো। দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে দুই পারের মানুষের দাবি ছিল মরা সুরমা নদীর মঙ্গলপুর বাজার-বাজিতপুর গ্রামের নিকটে সেতু নির্মাণের। কিন্তু জনসাধারণের দাবি আজো পূরণ হয়নি। একটি সেতুর এভাবে এলাকার মানুষকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোয় নদী পার হতে গিয়ে বছর খানেক আগে এক কৃষক পানিতে ডুবে মারা যান।
স্থানীয় বাজিতপুর গ্রামের বাসিন্দা নাইওর মিয়া বলেন, বাঁশের সাঁকো দিয়েই তিন ইউনিয়নের জনসাধারণসহ কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত মরা সুরমা নদী পার হন।
ব্যবসায়ী মাসুক মিয়া জানান, পানির ¯্রােতে সাঁকোর বাঁশ ভেসে যাওয়ায় এখন মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পারাপার হতে হচ্ছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হতে গিয়ে একজনের মৃত্যু ঘটলেও আজো টনক নড়েনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনের।
পান্ডারগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ বলেন, মঙ্গলপুর বাজারের নিকটে মরা সুরমা নদীর উপর সেতু অত্যন্ত প্রয়োজন। ইতিমধ্যে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেছি।